বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতুর্জা আবেদিনের ওপর হামলা চালিয়ে তার পিস্তল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সেই মান্নার বিরুদ্ধে।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর লঞ্চঘাট বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত রইজ আহমেদ মান্না মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক। অপরদিকে মতুর্জা আবেদিন জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক পদে রয়েছেন।
ঘটনার সময় মতুর্জার সঙ্গে থাকা পিস্তল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে ঘটনাস্থলে থাকা ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য পিস্তলটি উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত মর্তুজা আবেদিনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে ।
মান্না ১০ বছর আগেও ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ একজন কর্মী। মহানগর ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ানের মোটরসাইকেল চালক হিসেবেই খ্যাতি ছিল তার।
পরে নানা সমীকরণের মধ্যে গত ১০ বছরে জিরো থেকে কোটিপতি বনে গেছেন মান্না। এ বিষয়ে ‘ছাত্রলীগ করে কোটিপতি মোটরসাইকেলচালক মান্না’ শিরোনামে কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ হয়।
এ বিষয়ে মতুর্জা আবেদিন বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত কাজে লঞ্চঘাট এলাকার জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে যাই। এ সময় মান্না তার ৩০-৪০ জন অনুসারী নিয়ে সেখানে জড়ো হন। পরে আমি বের হলে ‘শালা আমার বৌয়ের গায়ে তুই হাত দিছোস’ বলে মান্না ও তার অনুসারীরা আমার ওপর হামলা চালান। আমার সঙ্গে থাকা লাইসেন্স করা অস্ত্র ছিনিয়ে নিতে চান। পরে ট্রাফিক পুলিশ এসে আমার অস্ত্র তার হেফাজতে নিয়ে নেয়।’
রইজ আহমেদ মান্না বলেন, ‘আমাদের জমির বিষয়ে একটি ঝামেলা ছিল। সেই কাজের জন্য আমি ভূমি অফিসে যাই। ওই কাজ শেষ করে যখন বের হই তখন পাশ থেকে এসে মর্তুজা পিস্তল বের করে আমাকে গুলি করতে আসে। এ সময় আমার সঙ্গে থাকা তিন-চারজন বিষয়টি দেখতে পান। তারা ও স্থানীয়রা মর্তুজাকে গুলি করা থেকে বিরত করেন। পরে মডেল থানায় ফোন করা হলে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যেহেতু একটি সংগঠন করি। তাই জ্যেষ্ঠদের বিষয়টি জানিয়েছি। আমি চাই তার শাস্তি হোক।’
ঘটনাটি নিশ্চিত করে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এ ছাড়া মতুর্জা আবেদিনের কাছ থেকে যে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে সেটির লাইসেন্স আছে কি না সেই কাগজপত্র চেক করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।’
মন্তব্য করুন