গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কামরাঙ্গাচালা এলাকায় নিজ ঘর থেকে হাফিজা আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রায় দুই মাস আগের ওই ঘটনার সময় এটি আত্মহত্যা বলে প্রচার পায়। কিন্তু ঘটনার দুই মাস পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে উঠে আসে ভিন্ন তথ্য। গ্রেপ্তার করা হয় স্বামী মাসুদ রানাকে।
তিনি র্যাবের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, স্ত্রীকে পিটিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। যাতে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রচার পায়।
শনিবার (২৬ আগস্ট) রাতে আশুলিয়ার একটি বাসা থেকে স্বামীকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব এ তথ্য নিশ্চিত হয়।
রোববার (২৭ আগস্ট) র্যাব-১-এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার মাসুদ রানা (৪৬) জামালপুর জেলার টুপকার চর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈরে থাকতেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসাইন জানান, গত ২৮ জুন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কামরাঙ্গাচালা এলাকা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার চালানো হয়। পরে মরদেহের ময়নাতদন্তে বেরিয়ে আসে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে তাকে পেটানো হয়।
গ্রেপ্তার স্বামীর বরাতে র্যাব জানায়, পরকীয়া, মাদক সেবন এবং অসামাজিক কার্যকলাপে বাধা দেওয়ায় স্ত্রী হাফিজা আক্তারকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন অভিযুক্ত। এ ঘটনার পর তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।
র্যাব আরও জানায়, মাসুদ রানার নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে অপহরণসহ তিনটি মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন