মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আদালত চত্বরে জামাই-শ্বশুরের মারামারি

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জামাই-শ্বশুরের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। ছবি : কালবেলা
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জামাই-শ্বশুরের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। ছবি : কালবেলা

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বিচারিক কার্যক্রম শেষে জামাইয়ের সঙ্গে শ্বশুর ও তার পক্ষের লোকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, মানিক মিয়া ও মৌসুমী খাতুন দম্পতির মেয়ে মায়া খাতুন তার নানার বাড়ি বেড়াতে গেলে পরবর্তীতে তাকে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায় নানা-নানি। নিজ সন্তানকে ফেরত পেতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে শ্বশুরসহ চারজনের নামে মামলা করেন মানিক মিয়া। আট বছর বয়সী কন্যা সন্তানকে ফিরে পেতে মানিক মিয়া ও মৌসুমী খাতুন দম্পতির করা মামলার শুনানি শেষে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আদালত চত্বর থেকে বের হয়ে কথা কাটাকাটি থেকে হট্টগোল শুরু হয় দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। একপর্যায়ে সেটা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ সময় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় জনগণ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত ব্যক্তিরা পরিস্থিতি শান্ত করে।

মানিক মিয়া বলেন, এজলাস থেকে বের হয়ে নিজের সন্তানকে কোলে নিতে গেলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এতদিন পর্যন্ত স্ত্রী আমার সঙ্গে ছিল। আজকে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার মেয়ে ও স্ত্রীকে মাইক্রোবাসে করে নিয়ে গেছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিনা পাল কালবেলাকে বলেন, মানিক ও মৌসুমী দম্পতির দুটি সন্তান। মেয়ে বড় এবং ছেলে ছোট। মানিকের শ্বশুর-শাশুড়ি ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে মায়া খাতুনকে চুয়াডাঙ্গায় তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। তবে মানিক ও মৌসুমী রাজি না হলেও তারা জোরপূর্বক মায়াকে রেখে দেয়। এ ঘটনায় মানিক তার স্ত্রীকে সাক্ষী করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০০ ধারায় একটি মামলা করে।

তিনি আরও বলেন, আদালত শিশুটির মতামত নিয়ে এবং মানিকের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে শিশু মায়া খাতুনের কাস্টডি তার নানা-নানিকে দিয়ে মামলার রায় ঘোষণা করে। এরপর আদালত থেকে বাইরে এসে মানিক তার মেয়েকে কোলে নিতে চাইলে ঘটে বিপত্তি। হাতাহাতি ও মারামারি শেষে যাওয়ার সময় মানিকের শ্বশুরপক্ষ তার স্ত্রীকেও তুলে নিয়ে যায়। এটা একটা অপরাধ। তবে বাবা-মায়ের বিপক্ষে তো অপহরণ মামলা হয় না। বিষয়টি নিয়ে আমি আগামীকাল জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে আবেদন করে দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতার উদ্যোগ নেব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বাস্থ্য পরামর্শ / ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জীবনযাপনে পরিবর্তন প্রয়োজন

ঢাবির বাসে হামলা, বিচার চায় ছাত্রদল-শিবির-ছাত্রফ্রন্ট

শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে— স্লোগানে ফরিদপুরে মিছিল

উত্তেজনার বিস্ফোরণ / ভারত কি এবার সত্যিই আক্রমণ করবে? 

মেস থেকে জবি শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার

মুরাদনগরে পুলিশি হয়রানি বন্ধ ও এসপি-ওসির প্রত্যাহার দাবি

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তার প্রেমিকাকে ধর্ষণ ছাত্রদল নেতার!

যুদ্ধে যেতে বাধ্য রাশিয়ায় পাচার হওয়া ১০ বাংলাদেশি, নিহত ৩

মাটির নিচে পাওয়া মর্টার শেল বিস্ফোরণ, অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

বরিশালে একযোগে ১১ পুলিশ পরিদর্শকে বদলি

১০

পালানোর সময় ছাত্রলীগ নেতাকে ধরে পুলিশে দিল বিএনপি

১১

সিলেটে ঘর থেকে সিসিক কর্মচারীর লাশ উদ্ধার

১২

এনসিপির পদ ছাড়লেন কেন্দ্রীয় সদস্য রিদওয়ান হাসান

১৩

ছাত্রদল নেতার ঘরে আ.লীগ নেতা

১৪

তেঁতুলিয়ায় বিরল প্রজাতির শকুন উদ্ধার

১৫

নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক দলের কমিটি নিয়ে চরম কোন্দল, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

১৬

নদী রক্ষায় চার সচিবসহ ১১ জনকে বেলার আইনি নোটিশ

১৭

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি

১৮

রাখাইনের জন্য ‘মানবিক করিডোর’ হবে ঝুঁকিপূর্ণ : ১২ দলীয় জোট

১৯

মানবিক করিডোর নিয়ে সরকারের একক সিদ্ধান্ত অপরিণামদর্শী : রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

২০
X