রংপুরের বদরগঞ্জে এক রোহিঙ্গা নারীকে জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়ার ঘটনায় উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবু বকর সিদ্দীককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসানের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেওয়া হয়। কারণ জানতে চেয়ে দশ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আবু বকর সিদ্দীক উম্মে কলিমা নামের এক রোহিঙ্গা নারীকে জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে ছিলেন, যা তদন্তে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে আপনাকে (আবু বকর সিদ্দীক) ১৭ এপ্রিল সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইনের, ২০০৯-এর ৩৪ (৪)(খ)(ঘ) ধারায় অপরাধ সংঘটিত করায় আপনার পদ থেকে আপনাকে কেন অপসারণ করা হবে না, তা পত্র পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রংপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবু বকর সিদ্দীক বলেন, ২০২২ সালে আমার ইউনিয়নে হ্যাকারদের মাধ্যমে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা পুরোপুরি মিথ্যা। আমি কোনো রোহিঙ্গা নারীকে জন্মসনদ দেইনি। আমার সঙ্গে ষড়যন্ত্র হয়েছে।
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা নারীর জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরির কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবু বকর সিদ্দীককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগ। এ আদেশের বিষয়ে একটি চিঠি পেয়েছি।
মন্তব্য করুন