বরিশালের মুলাদীতে প্রেমিকা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তার ঘরের সামনে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন হারুন মোল্লা নামে ৬০ বছর বয়সী এক প্রেমিক।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
হারুন মোল্লা দক্ষিণ কাজিরচর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার মোল্লার ছেলে। এর আগে সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে মুলাদী উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাজিরচর গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহতের স্বজনদের দাবি, গত ২৬ এপ্রিল হারুন মোল্লার সঙ্গে একই গ্রামের এক নারীর পরকীয়ার ঘটনা নিয়ে সালিশ হয়। ওই নারীর স্বামী ও সন্তান থাকা সত্ত্বেও হারুন মোল্লা তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু ওই নারী বিয়েতে রাজি না হওয়ায় হারুন মোল্লা রোববার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে তার ঘরের সামনে এসে বিষপানে আত্মহত্যা করে।
হারুন মোল্লার ছেলে জাহাঙ্গীর মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, মা জীবিত থাকার পরেও বাবা এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। সম্পর্কের সূত্রে বিয়ে করার আশ্বাসে ওই নারী বিভিন্ন সময়ে বাবার কাছ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা নিয়েছিলেন। সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে শনিবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে এলাকায় সালিশ বৈঠক হয়। যাতে সিদ্ধান্ত হয়, ওই দুজনের কেউ কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। সালিশের পর বাবা হারুন মোল্লা আর নিজের বাড়িতে ফেরেননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য এনামুল হক বেপারি বলেন, সোমবার ভোরে ওই নারীর ঘরের সামনে হারুন বেপারির মরদেহ দেখে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ সময় মরদেহের পাশ থেকে একটি বিষের বোতল উদ্ধার করা হয়।
মুলাদী থানার ওসি জহিরুল আলম কালবেলাকে বলেন, বৃদ্ধ হারুন মোল্লার মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার তার মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে সোমবার স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করি।
পরকীয়ার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে সালিশের বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন