নীলফামারীর সৈয়দপুরে উত্তরা ইপিজেড এলাকায় রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই বোন দগ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বড় বোন সুইটি আখতার (২২) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ছোট বোন তাজনিমা আখতারের (২০) অবস্থা সংকটাপন্ন।
তাদের বাড়ি নালফামারীর ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নে। বাবার নাম বাবুল হোসেন। তারা দুজনই নীলফামারী সরকারি মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। চাকরি করতে উত্তরা ইপিজেডের ৭ নং সেকশনে। ইপিজেড এলাকার হাজিপাড়াতে বাসা নিয়ে থাকতেন।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কাজে যাওয়ার জন্য ভোরে উঠে গ্যাসের চুলায় রান্না বসান দুই বোন। রান্না করার একপর্যায়ে গ্যাস সিলিন্ডারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো রান্না ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় মুহূর্তেই অগ্নিদগ্ধ হন দুই বোন। পরে প্রতিবেশীরা বাসার দেয়াল ভেঙে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
অবস্থার অবনতি হলে সকাল ৯টার দিকে রংপুর মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়। দুপুর দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুইটি।
বাসার মালিক রেজাউল ইসলাম বলেন, ভোরের দিকে তাদের রান্না ঘরে আগুন লেগে যায়। বাসার গেট বন্ধ থাকায় দেয়াল ভেঙে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খুব সম্ভবত গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগেছে।
বাবা বাবুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আগুন আমার মেয়ে দুইটাকে শেষ করি দিল। আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব। ইপিজেডে কাজ করায় পাশে ভাড়া থাকত। সকালে অফিস যেতে হয় তাই রান্না করছিল। গ্যাসের আগুনে মেয়ে দুইটাকে পুড়ে মারল।’
তাদের ভগ্নিপতি বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আরেকজনের অবস্থাও বেশি ভাল না। আল্লাহর ওপর ভরসা করে আছি।’
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন, প্লাস্টিক ও কসমেটিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. শাহীন শাহ বলেন, তাদের শরীর শতভাগ পুড়ে গেছে। দুজনের মধ্যে সুইটি মারা গেছেন। অন্যজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এজন্য তাকে ঢাকায় পাঠানোর চেষ্টা করছি না। চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন