নানা অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করেন। জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
অভিযান শেষে দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল ঠিকাদারদের বিল প্রদানের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কমিশন অর্থাৎ ঘুষ নেওয়া হচ্ছে। আমরা অফিসে নথিপত্র যাচাই করলাম, ঘুষের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রমাণ পাইনি। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ পেলেও অন্য লোক কাজ করছে, প্রত্যেকটা কাজের ক্ষেত্রেই এ অনিয়ম হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ী একটা কাজ যে ঠিকাদার পাবেন তারই দায়িত্ব কাজটা শেষ করা। কিন্তু তিনি যখন তৃতীয় বা চতুর্থ ব্যক্তি দিয়ে করাচ্ছেন সেখানে অনিয়মের সুযোগ থেকে যায়। তাই কাজ হস্তান্তরটা অপরাধের মধ্যেই পড়ে। এ ধরনের অভিযান যেহেতু কেন্দ্রের নির্দেশনা মোতাবেক করি, তাই বলতে পারব না যে কবে নাগাদ আবার এ অভিযান হবে।
জানা গেছে, রাজশাহীর এলজিইডি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই দুদক এ অভিযান চালায়। তবে অভিযানের বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বিস্তারিত মন্তব্য করতে রাজি হননি দুদকের সদস্যরা।
এর আগে, দুদক সদস্যরা রাজশাহী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলামের কক্ষে প্রবেশ করে তার উপস্থিতিতে সরকারি কাজের বিভিন্ন প্রকল্পের ফাইলপত্রের তল্লাশি চালান ও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর এলজিইডির বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মন্তব্য করুন