ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রায়গ্রাম ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামে।
রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে স্থানীয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে থাকা তিনটি গাছ কাটা অবস্থায় দেখতে পান।
সরেজমিনে দেখা যায়, একতারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে তিনটি পুরোনো ও বড় আকৃতির গাছ কেটে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজন বিশ্বাস বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছেন। গাছগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, আমরা যখন এই স্কুলে পড়েছি, তখন এই গাছগুলো আমরাই লাগিয়েছিলাম। এলাকাবাসী এগুলো স্কুলের গাছ বলেই জানত। শুক্রবার রাজন বিশ্বাস প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় কয়েকজন মিলে গাছগুলো কেটে নিয়ে যান। এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক। সরকারি গাছ এভাবে নিয়ম না মেনে কাটা যায় না। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাজন বিশ্বাস জানান, প্রধান শিক্ষক আমাকে গাছগুলো কাটতে বলেছেন। এ কারণেই আমি গাছগুলো কেটেছি। গাছ বিক্রির টাকা প্রধান শিক্ষকের কাছে দিয়ে দেবেন বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী দিলু ব্যাপারী জানান, রাজন গাছ কাটার জন্য শ্রমিক নেওয়ার জন্য আমার কাছে এসেছিল। আমি লোক পাঠিয়ে দিই, তারা গাছ কেটে চলে আসে। এর বেশি কিছু আমি জানি না।
একতারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটি হওয়ার পর আমরা সবাই বাসায় চলে যাই। পরে দুই দিন স্কুল বন্ধ ছিল। রোববার এসে দেখি স্কুলের পাশের গাছগুলো কে বা কারা কেটে নিয়ে গেছে। গাছগুলো স্কুলের না। সরকারি খাস জমির গাছ। এই গাছ কাটার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।
রায়গ্রাম ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, গাছ কাটার বিষয়টি আমি কিছুই জানি না। কেউ আমাকে কিছু জানায়নি। আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পারলাম। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন