নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় বোরো ধান পাকার আগ মুহূর্তে ক্ষেতে কারেন্ট পোকা বা বাদামি গাছফড়িং পোকা আক্রমণ করছে। এতে পাকা ধান ঘরে তোলার মুহূর্তে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।
এদিকে পোকার আক্রমণে বাধ্য হয়ে অনেকে আধাকাঁচা পাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন। আবার কিছুসংখ্যক কৃষক ক্ষেতে কীটনাশক ছিটিয়ে দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার নাজিরপুর ও লেংগুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বোরো আধাকাঁচা-পাকা ধান দুলছে। এ ছাড়া খেতের কিছু অংশ মরে গেছে। আবার ধান গাছের গোড়ায় অসংখ্য পোকা ঘিরে ধরছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ২১ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে হাওরের ৯০ শতাংশ জমির ধান তুলতে পেরেছে কৃষকরা। এ ছাড়া কিছু জায়গায় পোকার আক্রমণের খবর পেয়ে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে।
নাজিরপুর এলাকার স্থানীয় কৃষক আব্দুল হেকিম ও উত্তরপাড়া লোহারগাও গ্রামের কৃষক মোশাররফ হোসেন বলেন, বোরো ধান চাষে অনেক টাকা খরচ হয়। ক্ষেতে ভালো ফলনও হয়েছে। তবে গত একসপ্তাহ ধরে পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। তাই আধাকাঁচা-পাকা ধান কাটতে শুরু করেছে শ্রমিকরা। আর বেশি কাঁচা ধানে কীটনাশক ছিটিয়ে দিচ্ছেন। তাদের আশঙ্কা, পোকা দমন করতে না পারলে বোরো উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।
কলমাকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বছর পোকার আক্রমণ গত বছরের তুলনায় বেশি হয়েছে। এটি কারেন্ট পোকা, যা হলো বাদামি গাছফড়িং। এই পোকা কীটনাশক দিয়ে দমন করা যায়। তবে যেসব ক্ষেতে ধান পেকে যাচ্ছে, আমরা সেগুলো কৃষকদের কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছি।
মন্তব্য করুন