রংপুরের পীরগাছা থানা পুলিশ পৃথক দুটি অভিযানে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার এবং এক অপহৃত তরুণীকে উদ্ধার করেছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং উদ্ধার তরুণী বর্তমানে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছেন।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ঢাকার মহাখালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আসাদুজ্জামানকে। তিনি পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের আতিউর রহমানের ছেলে।
থানা সূত্রে জানা যায়, ডিএমপি ভাটারা থানার অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় দীর্ঘদিন কারাবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক ছিলেন আসাদুজ্জামান। পরে আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এসআই শফিকুল ইসলাম আকন্দের নেতৃত্বে পীরগাছা থানার একটি বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর সহায়তায় আসাদুজ্জামানকে ঢাকার মহাখালী থেকে গ্রেপ্তার করে।
একই দিনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৭/৩০ ধারায় দায়ের করা পীরগাছা থানার ২৬ নম্বর মামলায় অপহৃত তরুণী কল্পনা আক্তারকে (ছদ্মনাম) অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, কল্পনা আক্তারের (১৯) সঙ্গে রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানার নাজিরদিগর এলাকার কাওছার আলীর ছেলে নাহিদ হাসান মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বিয়ের প্রলোভনে গত ৩১ জানুয়ারি বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে তাকে অপহরণ করে নাহিদ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা মামলা দায়ের করলে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করেন।
এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশের দায়িত্ব শুধুমাত্র অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা নয়, জনগণের জানমাল রক্ষা করাও আমাদের অঙ্গীকার। জীবন বিপন্ন করে হলেও আমরা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, সফল দুটি অভিযানের বিষয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর জেলার পুলিশ সুপারকে জানান। পুলিশ সুপার অভিযানে নিয়োজিত টিমের সাহসিকতা ও দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাদের জন্য আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দেন।
ছবির ক্যাপশন : গ্রেপ্তারকৃত আসামি আসাদুজ্জামান (বামে), ডানে এসআই শফিকুল ইসলাম আকন্দ। ছবি : কালবেলা
মন্তব্য করুন