ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় অবস্থিত ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) হঠাৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় প্রায় ৯০টি কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকদের দেওয়া হয়েছে আকস্মিক ছুটি।
ডিইপিজেড সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের গ্যাস সংযোগ তিতাস কর্তৃপক্ষ হঠাৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় এ সংকটের সৃষ্টি হয়। পূর্ব কোনো নোটিশ ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষ। ফলে কারখানাগুলোতে উৎপাদন থমকে গেছে, বিপাকে পড়েছেন প্রায় এক লাখ শ্রমিক।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘হঠাৎ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ইউনাইটেড পাওয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি। ফলে ডিইপিজেড অন্ধকারে ডুবে গেছে। প্রায় ৯০টি কারখানায় শ্রমিকদের ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে পূর্ব নোটিশ ছাড়া গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা অনাকাঙ্ক্ষিত। এতে শুধু শ্রমিকরাই নয়, বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে সংকট আরও তীব্র হবে।’
এদিকে ইউনাইটেড পাওয়ার প্লান্টের ব্যবস্থাপক মো. মমতাজ হাসান কালবেলাকে জানান, ‘গ্যাসের কোনো চাপ নেই, চাপ একেবারে শূন্য। কেন এমন করা হলো, সে বিষয়ে তিতাসের স্থানীয় কর্মকর্তারাও কিছু জানাতে পারেননি। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বকেয়া বিল বা মামলা রয়েছে বলে জানা নেই।’
অন্যদিকে, তিতাস গ্যাসের আশুলিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু ছালেহ মুহাম্মদ খাদেমুদ্দীন কালবেলাকে বলেন, ‘ইউনাইটেড পাওয়ারের গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, হঠাৎ এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ডিইপিজেড এলাকার কারখানাগুলোতে বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রপ্তানি আদেশ বাস্তবায়ন নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মন্তব্য করুন