জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ যুবদল নেতা জসিম কন্যা কলেজছাত্রী লামিয়ার পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে বিএনপির স্বাস্থ্য সহায়তা সেল।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন ওয়ার্ডের ১৪নম্বর কেবিনে ভর্তি শহীদ কন্যা লামিয়ার অসুস্থ মা রুমা বেগমের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্য সেলের চিকিৎসক পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ডা. মহিবুল্লাহ রুবেল।
এসময় তিনি হাসপাতালের আরএমও ডা. মশিউর রহমান ও কর্তব্যরত নার্সদের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ খবর নেন। একই সঙ্গে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
ডা. মহিবুল্লাহ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সেল ২৪’র শহীদ, আহতসহ নিপীড়িত নারী ও শিশুদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পটুয়াখালী জেলার চিকিৎসা সহায়তা সেলের সদস্য হিসেবে তিনি এখন থেকে শহীদ কন্যা লামিয়ার পরিবারের সার্বিক চিকিৎসা সহায়তায় সর্বদা পাশে থাকার অঙ্গীকার করছেন। একই সঙ্গে কিভাবে পরিবারটির কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় সে ব্যাপারে দলের চেয়ারম্যান সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এসময় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহীদ জসিম উদ্দিনের স্ত্রী (লামিয়ার মা) রুমা বেগম, ছোট মেয়ে বুশরা আক্তারসহ তার শ্যালক ও শ্যালিকা।
প্রসঙ্গত, শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর শেখেরটেকের ৬ নম্বর রোডের ভাড়া বাসা থেকে লামিয়া আক্তারকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শহীদ জসীম উদ্দিনের কন্যা তার বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে যাচ্ছিলেন। পথে নলদোয়ানী থেকে দুর্বৃত্তরা পিছু নেয়। হঠাৎ পেছন থেকে তার মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী জলিল মুন্সির বাগানে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ১৭ বছরের ওই কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। এমনকি তার নগ্ন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন