সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে লাথি মারার ঘটনায় সিলেটসহ দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে ঘটনার তদন্তে সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ভিডিওটি সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচতলার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটেছে। দুপুরে সার্জারি ওয়ার্ডে পেটের ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন জুবায়ের আহমদ নামের এক রোগী, পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তন্ময় দেবনাথ।
এ সময় হাতের ইশারায় ডাকতেই ক্ষেপে যান ডাক্তার। রাগান্বিত ভাষায় গালাগাল করে একপর্যায়ে রোগীর মামাতো ভাইকে লাথি মারেন তিনি।
ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন এ দৃশ্য ভিডিও করে। পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে পড়ে। দেশজুড়ে শুরু হয় ক্ষোভের ঝড়। অভিযুক্ত ডাক্তারের শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।
ভুক্তভোগী জুবায়েরের পরিবার জানায়, ছাতক উপজেলার খলাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা জুবায়ের কয়েকদিন আগে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অপারেশন করান। পরে ব্যথা বাড়ায় ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হন। রোববার ফের তীব্র ব্যথা শুরু হলে ডাক্তার ডাকতে গিয়েই লাঞ্ছনার শিকার হন তিনি ও তার স্বজনরা।
রোগীর বাবা আব্দুল কাদির বলেন, ‘আমার ছেলে ব্যথায় কাতরাচ্ছিল। আমি ওষুধ আনতে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে শুনি, ডাক্তার আমার ছেলেকে আর ভাগনেকে লাথি মেরেছেন। আমি এর বিচার চাই।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তন্ময় দেবনাথ নামের ওই চিকিৎসক স্নাতকোত্তর ‘ফেজ-বি’-এর আবাসিক শিক্ষার্থী। রোগীর স্বজনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে কোনো কথার জেরে মেজাজ হারিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।
রোববারের ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী কালবেলাকে বলেন, ‘ঘটনাটি অনভিপ্রেত। ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন