বিগত সময়ে ভবন নির্মাণে অনিয়মের সঙ্গে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) যেসব কর্মকর্তা যুক্ত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকায় রাজউক নারায়ণগঞ্জ জোনাল অফিস (জোন-৮) নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
রাজউক চেয়ারম্যান সতর্ক করে বলেন, অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সারা দেশে নকশাবহির্ভূত ভবনে রাজউকের অভিযান চলমান থাকবে। বসবাসযোগ্য নগরী গড়তে কোনো প্রভাবশালী বা শক্তিশালী মহলও ছাড় পাবে না। বিশেষ করে, নির্মাণাধীন কোনো ভবনে অনিয়ম পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ঢাকাসহ সব নগরীকে তিলোত্তমা নয়, বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে ঝুঁকিপূর্ণ ও নকশাবহির্ভূত ভবন চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের অফিসিয়ালি তালিকা করবে ডিসি অফিস। আমরা যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা করছি অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, এর অধিকাংশই সরকারি ভবন। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, আমাদের পুরান ঢাকায় অসংখ্য ভবন রয়েছে। যেসব ভবন বর্তমানে অত্যন্ত দুর্যোগপ্রবণ। আমরা ওইসব ভবনের মালিকদের বলেছি, যদি তারা ভবন ভেঙে ব্লক দিয়ে তৈরি করেন তাহলে ভালো প্রণোদনা পাবেন। বিভিন্ন অভিযানে এখন থেকে আমরা যৌথ ম্যাজিস্ট্রেট পাঠাব।
ভবনের প্ল্যান পাস করা সম্পর্কে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা কোনো ভবনের প্ল্যান পাস করতে চাইলেই থার্ড পার্টির কাছে ছুটে যাই। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এখন আর থার্ড পার্টির কাছে যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে রাজউকের প্ল্যান পাস করা যায়।
রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) হারুন-অর-রশীদ বলেন, ভবন নির্মাণে কোনো ধরনের ব্যত্যয় করা হলে সেই ভবনের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাজউক এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নিয়ে একযোগে কাজ করবে যাতে ব্যত্যয়কৃত ভবনে ইউটিলিটি সংযোগ দেওয়া না হয়।
এ সময় রাজউকের সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) শেখ মতিয়ার রহমান বলেন, নারায়ণগঞ্জকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য একটি রিভাইজড মাস্টারপ্ল্যান দরকার। একইসঙ্গে দরকার মানুষের সচেতনতা। পরিকল্পিত শহর গড়ার লক্ষ্যে রাজউকের সব পর্যায় থেকে আমরা সর্বশক্তি ব্যবহার করব।
মন্তব্য করুন