সরকার নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব আ ন ম নাজিম উদ্দীন। এ লক্ষ্যে সারাদেশে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক জনসচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করে হোটেল, রেস্তোরাঁ, বেকারিসহ সংশ্লিষ্ট খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মালিক ও কর্মকর্তাদের খাদ্য নিরাপদ রাখতে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ফেনী জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আয়োজনে জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালায় তিনি এসব তথ্য জানান।
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব আ ন ম নাজিম উদ্দীন আরও বলেন, হোটেল রেস্তোরাঁসহ সব পর্যায়ে ভোক্তাদের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প গ্রহণ করে। এ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, সরবরাহকারী কর্মকর্তা, শ্রমিক, ক্রোতাসহ সাধারণ মানুষকে নিয়ে সচেতনতামূলক নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের সচেতনতার পাশাপাশি আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। খাবারের পূর্বে খেয়াল করতে হবে, আমি কোন খাবারটি খাচ্ছি, অথবা বাসার জন্য কোন খাবারটি নিচ্ছি তা সঠিক উপায়ে উৎপাদন হয়েছে কিনা, সঠিকভাবে রান্না করা হয়েছে কিনা অথবা সংরক্ষণ করা হয়েছে কিনা। তাহলে আমরা নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করতে পারব।
তিনি বলেন, আমরা সবাই কোনো না কোনোভাবে ভোক্তা এ বিষয়টি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে- আমরা খারাপ ও ভেজাল খাদ্য ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করব। তাহলে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বিক্রি বাড়বে। ইতোমধ্যে সরকার খাদ্যের গুণগত মান যাচাই করতে ও সঠিকভাবে রয়েছে কিনা এজন্য ল্যাব স্থাপন ও সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের মাধ্যমে খাদ্য পরীক্ষাগার চালু করেছে। যার মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে খাদ্যের গুণগত মান পরীক্ষা করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের সঞ্চালনায় ওই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুর আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানব সম্পদ) রুমেন শর্মা, সিভিল সার্জন ডা. রুবাইয়াত বিন করিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ, জেলা তথ্য অফিসার আল আমিন, জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মুহাম্মদ শামসুল আরেফিন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কনসালট্যান্ট মো. আইয়ুব হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. সাইফুল ইসলাম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল মোতালেব, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকতা আমিনুল ইসলাম, কলকারখানায় প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রকৌশলী শরিফ আহম্মেদ আজাদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তানভীর হোসেন, হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নুর নবি, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার কবির শাহাজাদাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন