মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেছেন, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা। যেহেতু আমি ডিপ্লোম্যাসিতে আছি সেহেতু আমাদের এখন ফোকাসটা হচ্ছে ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসি।
তিনি বলেন, দেশে কার্গো ফ্লাইটের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্য শুরু করা অর্থনৈতিক কূটনীতির জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কেউ যাতে না ভাবতে পারে আমরা কোনো দেশের মুখাপেক্ষী। বরং বাংলাদেশ স্বনির্ভর, আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ, আমরা নিজেদের স্বকীয়তা দিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
রোববার (২৭ এপ্রিল) রাত ৮টায় সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্গো ফ্লাইট উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, বিগত দিনগুলোতে আমরা দেখেছি, এক তরফাভাবে কোন কোন দেশ এই বাণিজ্যটা করেছে। এটা হওয়া উচিত ছিল না। আমরা আগে শুধুমাত্র জাহাজের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্যে যুক্ত ছিলাম। এবার আমরা উড়োজাহাজের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্য শুরু করেছি। অনেক উড়োজাহাজ কোম্পানি এক্ষেত্রে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এ কারণেও আমি মনে করি, এই কার্গো ফ্লাইটের সুবিধা অনেক ব্যবসায়ীরা নিতে পারেন। এতে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের সকল কার্যক্রম ও সেবা নিশ্চিত থাকবে। দেশের অর্থনীতির চাকাকে সমৃদ্ধ করতে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ভূমিকা অতুলনীয়। আর সেই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের বৃহদাকার অংশ এই সিলেটের মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত সিলেটবাসী দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখলেও তাদের কাঙ্ক্ষিত এই বিমানবন্দরটিতে আন্তর্জাতিক মানের সেবা ও সুযোগ-সুবিধার তেমন একটা উন্নতি হয়নি। তবে আজকের এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সিলেটবাসীর জন্য নতুন একটি মাত্রা শুরু হলো। আমি আশা করছি, এই যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
কার্গো ফ্লাইট কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগে আমাদের কার্গো ফ্লাইটের জন্য অন্য দেশকে ব্যবহার করা হতো। আর এখন আমাদের দেশ থেকেই কার্গো ফ্লাইট শুরু হয়েছে। সিলেট থেকে সপ্তাহে দুটি কার্গো ফ্লাইট রাখা যাবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।
এর আগে, রোববার সন্ধ্যায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো ৬০ টন গার্মেন্টস পণ্য স্পেনের জারাগোজা শহরে রপ্তানির মধ্য দিয়ে কার্গো ফ্লাইট কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। কার্গো ফ্লাইট চালুর মাধ্যমে ইউরোপে পণ্য রপ্তানিতে এ অঞ্চলের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
মন্তব্য করুন