সিলেটে ডেভিল হান্টে আড়াই মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৫৩ জনকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ অভিযানের মূল উদ্দেশ্য রাজনৈতিক সহিংসতা, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা।
আড়াই মাসে এ অভিযানে সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ৩শ ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার অভিযোগে ১শ ৭৭ জনকে এবং অন্যান্য বিভিন্ন অভিযোগে ১শ ৭৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযানে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আজম খান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি অয়ন দাস, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মো. জসিম উদ্দিন তালুকদার, মহানগর যুবলীগের কর্মী অন্তর খান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ আহমদ, যুবলীগের কর্মী ফুল মিয়া ও সাহান আহমদকেও এ অভিযানের আওতায় আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া অনেকেই আগেই বিভিন্ন মামলার পলাতক ছিলেন, আবার কেউ কেউ সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতা, আগুন সন্ত্রাস, কিংবা জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, এই অভিযান সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষার উদ্দেশ্যেও পরিচালিত হচ্ছে। যারা অপরাধে যুক্ত, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এ বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে শুরু হয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’।
মন্তব্য করুন