সাভারে অবৈধভাবে গ্রাম দখল করে আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলার অভিযোগে ‘রেলিক সিটি’ নামক আবাসন প্রকল্পের চেয়ারম্যান এ এস এম শাহ নেওয়াজ, পরিচালক সাব্বির ও একাধিক অস্ত্র মামলার আসামি মো. নূরুজ্জামানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে সাভার মডেল থানায় এ মামলা করেন ভুক্তভোগী সালাউদ্দিন আহমেদ। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, রেলিক সিটির সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীরা তাকে হামলা করে গুরুতর আহত করে।
এজাহারে আরও বলা হয়, সাভার উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী নূরুজ্জামান, তার ভাই রুহুল আমিন এবং ফুপাতো ভাই রাসেল মিলে সালাউদ্দিনের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনো ধরনের সরকারি অনুমোদন ছাড়াই পেশিশক্তি ও সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যবহার করে রেলিক সিটি সাভারের অন্তত ১০টি গ্রাম দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে গত সোমবার বিরুলিয়া ইউনিয়নের রাজারবাগ গ্রামে মানববন্ধন করে গ্রামবাসী। পরদিন আবারও মানববন্ধন করলে রেলিক সিটির পক্ষ থেকে পাল্টা কর্মসূচি পালন করা হয়। এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে রেলিক সিটির লোকজন এলাকায় তাণ্ডব চালায়। যারা মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিল, তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
দুই দফা হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হন সালাউদ্দিন আহমেদ। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া মামুন মিয়া ও সেকেন্দার নামের আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রেলিক সিটি চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশি ও প্রবাসী ক্রেতাদের প্রতারণা করছে। প্রকল্পের ৮ হাজার ২৫১ বিঘা জমির নকশা তৈরি করা হলেও প্রকৃতপক্ষে তাদের নামে ১ শতাংশ জমিরও মালিকানা নেই। নকশায় গ্রামবাসীর বাড়িঘর, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমের জায়গা প্লট আকারে দেখিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে রেলিক সিটির চেয়ারম্যান এ এস এম শাহ নেওয়াজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন