কুমিল্লা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় গত ১২ ঘণ্টায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে কিশোর গ্যাংয়ের আরও ১৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টা পর্যন্ত একাধিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া কিশোর গ্যাং সদস্যরা হলো নগরীর বাগিচাগাঁও বড় মসজিদ এলাকার রাকিব হাসান শুভ (১৮), লালমাই উপজেলার মিলন (১৭), একই এলাকার মো. ফাহিম হোসেন (১৭), কুমিল্লা সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের নিবির ইনতেছার নিশান (১৯), নগরীর অশোকতলা এলাকার শাহাদাত হোসেন শান্ত (১৯), নগরীর ৯ নং ওয়ার্ডের নতুন চৌধুরীপাড়ার মো. নেহাল আহাম্মেদ (২৬), নগীরর কান্দিরপাড়র সোহাগ (১৭), একই এলাকার সাইমন (১৭) ও সফিকুল আলমের ছেলে সাব্বির (১৭),
এ ছাড়া নগরীর চকবাজার এলাকার সহিদ (১৯), নগরীর সুজানগরের হৃদয় (১৯), লালমাই উপজেলার ইফতেখার হোসেন তাহসিন (১৭), নগরীর রানীর দিঘীর পাড়ের শাহাদাত হোসেন টিপু (২৬) ও সদরের চম্পকনগর (সাতরা) এলাকার মুজাহিদুল ইসলামকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, অভিযান চলছে। যাদের পাওয়া যাবে তাদেরই গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে শনিবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে সেনা বাহিনী ও র্যাব কিশোর গ্যাংয়ের আরও ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংকে অস্ত্র সরবরাহকারী, শেল্টারদাতাসহ আরও ৫ জনকেও গ্রেপ্তার করে। ওই চার কিশোরের মধ্যে গ্যাং লিডার রতন ও সাইফুলও রয়েছে। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। সেনাবাহিনীর অভিযানে মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার সারারাত ও রোববার দুপুর পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে পুলিশ ঘটনার সময় ও শুক্রবার রাতভর অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। সবমিলিয়ে দুই দিনে এ পর্যন্ত অস্ত্র সরবরাহকারী, শেল্টারদাতা নেতা, দুই কিশোর গ্যাং লিডারসহ ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) কুমিল্লায় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ২০০-২৫০ জন কিশোর গ্যাং সদস্য শহরের রানীর দীঘি পাড়, তালপুকুর পাড় ও আদালতপাড়ায় শোডাউন ও ককটেল ফাটায়। এতে নগরীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করে।
মন্তব্য করুন