ঢাকার ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নে একটি বাড়িতে লুটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় লুটেরারা ওই বাড়ি থেকে প্রায় ১০ ভরি সোনার অলংকারসহ নগদ ১ লাখ টাকা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে লুটের এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার রাতে উপজেলার সোমভাই ইউনিয়নের দেপশাই উত্তর পাড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে বাড়ির মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে ঘরের ভেতরে ছিলেন মফিজ উদ্দিন (৭৫) ও পিয়ারা বেগম (৬৫) দম্পতি। এসময় ঘরের দরজা খোলা ছিল। রাত ১১টার দিকে তিনজন লোক ফটকের তালা ভেঙে ঘরে ঢোকেন।
পরে তারা ওই দম্পতির গলায় ধারালো ছুরি ধরে চিৎকার করতে নিষেধ করেন এবং ভয়ভীতি দেখান। এক পর্যায়ে বিছানার চাদর দিয়ে দুজনের মুখ ঢেকে দেওয়া হয়। পরে ঘরে থাকা দুটি স্টিলের আলমারি, ওয়্যারড্রব, কাঠের আলমারি ভেঙে নগদ ১ লাখ টাকাসহ প্রায় ১০ ভরি ওজনের বিভিন্ন ধরনের সোনার অলংকার, ১টি মোবাইল ফোন লুট করে রাত ৩টার দিকে তারা চলে যান।
ধামরাই থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলামসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যান।
ভুক্তভোগী মফিজ উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, রাতে গেটে তালা দিয়ে আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনে ঘরের ভেতরে বসে ছিলাম। দরজা তখনও লাগানো হয়নি। ১১টার দিকে তিনজন ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে। পরে বিছানার চাদর দিয়ে আমাদের ঢেকে দিয়ে নগদ ১ লাখ টাকাসহ প্রায় ১০ ভরি সোনার অলংকার নিয়ে গেছে।
পিয়ারা বেগম বলেন, তাদের সবার বয়স ১৫-২০ বছরের মতো হবে। হাফ প্যান্ট পরা ছিল। আমি ডাক্তারের কাছে কবে যাব, কোন হাসপাতালে যাব সব জানে তারা। চিকিৎসার জন্য ঘরে টাকা আছে সেটাও বলেছে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন