রাজশাহীতে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও রাজশাহীর পুঠিয়ায় পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নগরীর তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকার মৃত রতন মিয়ার ছেলে বিশাল (২৮) ও জামালের ছেলে নাহিদ (২৫)। মামলায় বিশাল দুই ও নাহিদ ছয় নম্বর আসামি। এ নিয়ে মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে র্যাব-৫-এর অধিনায়কের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, র্যাব-৫ রাজশাহীর সদর কোম্পানি ও র্যাব-১২ সিরাজগঞ্জের সদর কোম্পানি যৌথ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চরনাড়ুয়া এলাকা থেকে আসামি বিশালকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া র্যাব-৫-এর একটি দল অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর রেলগেট এলাকা থেকে আসামি নাহিদকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার আসামিদের নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গত ১৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা আকরাম আলী ও ইমাম হাসান অনন্তকে মারধর করা হয়। তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাতে আকরাম আলীর মৃত্যু হয়।
পেশায় বাসচালক আকরাম আলীর রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন। তার মেয়ে রাফিয়া আলফি এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। ঘটনার পর বাবার লাশ রেখে পরদিন সকালে সে পরীক্ষা দিতে যায়।
এ ঘটনায় ছেলে ইমাম হাসান অনন্ত বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকার কালু মিয়ার ছেলে মো. নান্টু মিয়া (২৮), মৃত রতনের ছেলে মো. বিশাল (২৮), মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে মো. খোকন মিয়া (২৮), তালাইমারী বাবর আলী রোড এলাকার শাহীনের ছেলে তাসিন হোসেন (২৫), মো. অমি (২৫), জামালের ছেলে মো. নাহিদ (২৫) এবং পিরুর ছেলে মো. শিশির (২০)।
গত ১৮ এপ্রিল রাতে নওগাঁ সদর থেকে ঘটনার মূলহোতা নান্টু ও সহযোগী খোকন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৫-এর একটি দল।
এর আগে একই দিন বিকেলে নগরীর তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকা থেকে রুমেলকে গ্রেপ্তার করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। এ নিয়ে মামলায় এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
মন্তব্য করুন