সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে যুবদলের এক নেতার নেতৃত্বে সাবেক এক সেনাসদস্যকে রাস্তায় আটকে মারধরের পর তার সঙ্গে থাকা ১০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাবেক ওই সেনাসদস্য ১০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের মন্দিয়াতা গ্রামের সাজিনুর মেম্বারের বাড়ির সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ওই যুবদল নেতার নাম আবু হানিফ (৩৫)। তিনি উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের মন্দিয়াতা গ্রামের প্রয়াত জমির আলীর ছেলে।
অভিযোগে অন্য যে ৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- শ্রীপুর ইউনিয়নের মন্দিয়াতা গ্রামের উজ্জ্বল মিয়ার ছেলে রুহান মিয়া (২০), জমির আলীর ছেলে তুষার (২৮), পার্শ্ববর্তী ছিড়িয়াগাঁও গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে সিদ্দিক আলী (৪৫), আব্দুর রহমানের শাহ নুর (৪০) ও আশিক নুর (৩০), সিদ্দিক আলীর ছেলে আজিজুল (২৫), সেবাজুল মিয়া (২১), আহাদুল (২২) ও আব্দুর জাহিদের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৫)।
থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে সাবেক সেনাসদস্য দুলাল মিয়া বাড়ি থেকে ব্যবসার জন্য ব্যাগে করে ১০ লাখ টাকা নিয়ে সীমান্ত এলাকা ট্যাকেরঘাট যাচ্ছিলেন। পথে মন্দিয়াতা গ্রামের সাজিনুর মেম্বারের বাড়ির পাশের রাস্তায় যুবদল নেতা আবু হানিফ তার লোকজন নিয়ে দুলালের ওপর আক্রমণ করে এবং তাকে মারধর করে তার সঙ্গে থাকা ১০ লাখ টাকাসহ ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হানিফ ও তার লোকজন টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে দুলাল মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
দুলাল মিয়া বলেন, ‘আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য। সারা জীবনের অর্জন পেনশনের টাকা দিয়ে ব্যবসা করে সংসার চালাই। আমার সেই ব্যবসার সম্বল পুঁজিটাই তারা নিয়ে গেল। এখন কীভাবে কী করব বুঝতে পারছি না।’
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, সাবেক সেনাসদস্যকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন