দুবাই থেকে দেশে ফিরছিলেন আলীম উদ্দিন (৪০)। বিমানে ওঠার আগেই পরে নিয়েছিলেন দুটি অন্তর্বাস, দুটি গেঞ্জি, একটি প্যান্ট ও শার্ট। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও বিমানবন্দরে স্ক্যানার মেশিন আলীম উদ্দিনের স্বাভাবিক যাত্রায় ব্যাঘাত ঘটায়।
তার পরিধেয় পোশাকগুলোতে পাওয়া যায় সোনার অস্তিত্ব। অন্তর্বাস থেকে শুরু করে গেঞ্জি ও ব্যবহৃত কাপড়গুলোতে সোনা গলিয়ে লেপে দেওয়া হয়েছিল। স্ক্যানারে পরীক্ষার পর বিষয়টি ধরা পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনাটি ঘটে।
আটক ব্যক্তি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বাসিন্দা।
বিমানবন্দর কাস্টমস সূত্র জানায়, দুবাই থেকে আসা আলীম উদ্দিন বাংলাদেশ বিমানের যাত্রী ছিলেন। তার বাড়ি গোয়াইনঘাটে হলেও তিনি রাজধানী ঢাকায় অবতরণের টিকিট করেছিলেন। বিমান সিলেটে অবতরণের পর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে উড়োজাহাজের ভেতর থেকে নামিয়ে আনেন কাস্টমস ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যরা। পরে স্ক্যানারে পরীক্ষার মাধ্যমে তার পরিধেয় কাপড়ে সোনা গলিয়ে আনার বিষয়টি ধরা পড়ে।
জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে আলীম উদ্দিনের পরনের চারটি অন্তর্বাস, দুটি গেঞ্জি, একটি শার্ট, প্যান্টসহ মোট আটটি কাপড় জব্দ করা হয়।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, আলীম উদ্দিনের সঙ্গে একই বিমানে আরেকজন সোনা চোরাচালানকারি ছিলেন। তাকে ঢাকা বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে।
সিলেট কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (অতিরিক্ত দায়িত্ব বিমানবন্দর ও এয়ারফ্রেইট বিভাগ) ইনজামাম-উল হক কালবেলাকে বলেন, আলীম উদ্দিন একসঙ্গে কয়েকটি অন্তর্বাস ও গেঞ্জি পরে এসেছিলেন। সেগুলোতে সোনার প্রলেপ দেওয়া ছিল। কাপড়গুলো পুড়িয়ে সোনাগুলো উদ্ধার করা হবে। কাপড় পোড়ানো না হলে কত পরিমাণ সোনা আছে, তা জানা যাবে না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরিধেয় কাপড়ে প্রায় ১ কেজি সোনা তিনি এনেছেন।
ইনজামাম-উল হক আরও বলেন, আলীম উদ্দিনকে আপাতত সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাখা হয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম শেষে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন