নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক রোকনুজ্জামান গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বলে জানিয়েছেন মহানগর আদালতের সেরেস্তাদার কৃপাসিন্ধু দাশ।
তিনি বলেন, মামলার সব আসামি পলাতক থাকায় ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে।
এর আগে, গত রোববার দুদকের সিলেটের উপসহকারী পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসাইন ইমন মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগপত্র দেন। দণ্ডবিধি ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অভিযোগ আমলে নিয়ে ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে একটি তদন্ত করে। তদন্তে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরী (মো. হক মঈনুল চৌধুরী) এর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়। পরে ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করে অ্যাডহক ভিত্তিতে মোট ২২০ জনকে সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে নিয়োগ ও তাদের মেয়াদ বৃদ্ধির অভিযোগ আনা হয়েছে। সাবেক উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ক্ষমতার অপব্যবহার করে অতিরিক্ত ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা ব্যতীত নিয়োগ, শিক্ষা জীবনে তৃতীয় বিভাগ থাকার পরেও নিয়োগ, অ্যাডহক থেকে পদোন্নতি এবং ভিন্ন ডিগ্রিধারী হওয়া সত্ত্বেও নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন