নেত্রকোনায় কৃষক আবদুস সোবাহানকে (৫০) হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও অন্যজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তের এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার অপর আসামি কিশোর হওয়ায় (হত্যাকাণ্ডের সময়) তাকে শিশু-কিশোর দণ্ডবিধিতে নেওয়া হয়।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) নেত্রকোনার জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
নিহত আবদুস সোবাহান সদর উপজেলার উত্তর বিলচুলঙ্গী (চন্দাপতিখিলা) গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এমদাদ হোসেন এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আবুল হাসেমও একই এলাকার বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিল।
রায় প্রকাশের পরে মূল পরিকল্পনাকারী আবুল হাসেমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এমদাদ হোসেন আদালত চত্বরেই তার ওপর হামলা চালায়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৬ জুলাই রাত ১১টার দিকে আবুল হাসেমকে তার চাচাতো ভাই রাসেল মিয়া মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। পরে ওই দিন রাতে গ্রামের সামনে একটি ক্ষেতে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দেয়। পরদিন দুপুরে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা সেখানে সোবাহানের ব্যবহৃত গামছা পড়ে থাকতে দেখেন। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে পরিবার।
ঘটনার দুদিন পর নিহতের স্ত্রী শিউলী আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। আদালত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আবুল হাসেম। তিনি রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. মজিবুর রহমান খান তালুকদার। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন