লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাংবাদিক রুবেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (২১ এপ্রিল) রাতে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকা থেকে তাদের মারধর করে পুলিশে তুলে দেয় একদল লোক। রুবেলকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের পর গণমাধ্যমকর্মীদের জানায়, পরিকল্পিতভাবে তাকে মারধর করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক হিসেবে সংবাদ পরিবেশনের জন্য ৪ আগস্ট তিনি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছিলেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হত্যা মামলায় তার নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়।
সাংবাদিক রুবেল হোসেন সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আবিরনগর গ্রামের ফজল করিমের ছেলে। তিনি অনলাইন নিউজপোর্টাল ঢাকা মেইলের লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি। এর আগে তিনি জেটিভি অনলাইন ও দেশেরপত্র পত্রিকার প্রতিনিধি ছিলেন।
রুবেলের বাবা ফজল করিম ও স্ত্রী রিমি আক্তারসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার রাতে রুবেল শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় অবস্থান করছিল। সেখানে একদল লোক এসে তাকে মারধর করে পুলিশে হাতে তুলে দেয়। মারধরকারীদের মধ্যে মাথায় হেলমেট পরা লোকজনও ছিল।
সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, রুবেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে তাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ৪ আগস্ট শহরের মাদাম ব্রিজ এলাকায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করে। এতে ব্রিজের ওপরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান। এ ঘটনায় আফনানের মা নাছিমা আক্তার বাদি হয়ে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
একইদিন তমিজ মার্কেট এলাকায় আন্দোলনকারী আরও তিন শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন, কাউসার হোসেন বিজয় ও ওসমান গণি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এসব হত্যা, বিস্ফোরক, হত্যা চেষ্টা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় থানা ও আদালতে পৃথক কয়েকটি মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন