বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, নির্বাচনের আগে হাসিনার বিচার দৃশ্যমান হতে হবে। হেলিকপ্টার দিয়ে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে লালমনিরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায়’ তিনি এ কথা বলেন। একই কর্মশালায় বিকাল ৪টায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বক্তব্য দিবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, নতজানু স্বভাবের কারণে আওয়ামী লীগ ১৫ বছরেও তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা পায়নি। বাস্তবায়ন করতে পারেনি তিস্তা মহাপরিকল্পনা। তারেক রহমান ছাড়া এটি বাস্তবায়নও সম্ভব নয়।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। মিনিমাম যে সংস্কার করা দরকার ৩১ দফার মধ্যে সে কথা উল্লেখ রয়েছে। গত ১৫ বছর দেশের সকল সেক্টরকে ধ্বংস করে গেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দেশের সকল শ্রেণির প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে বিএনপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা প্রণয়ন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে এই ৩১ দফার সাথে সম্পৃক্ত করাই আমাদের উদ্দেশ্য।
এ্যানি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল আত্মসামাজিক প্রেক্ষাপটে দেশকে স্বনির্ভর হওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল এবং একজন আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আন্দোলন এবং দেশকে ভবিষ্যতে উজ্জ্বল হবে ওই দৃষ্টিকোণ থেকেই শহীদ জিয়াউর রহমান দেশ পরিচালনা করেছেন। খুব অল্প সময় তিনি দেশের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আমরা লড়াই সংগ্রাম করেছি দেশের জন্য, দেশের গণতন্ত্রের জন্য, এতে আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, অত্যাচারিত ছিলাম এবং আমাদের পাশ থেকে অনেক ভাইকে হারিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দি রেখে মেরে ফেলতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ। তিনি অসুস্থ ছিলেন, অনেক অনুনয় বিনয় করেও তার সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে পারিনি। তারা দিনের ভোট রাতে করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসেছিল। আর এই অবৈধ কাজে কালো টাকার লোভে সহায়তা করেছিল প্রশাসনের লোকজন।
কর্মশালায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা, নেওয়াজ হালিমা আরলি প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেন শ্যামল। কর্মশালায় লালমনিরহাট জেলার পাঁচটি উপজেলার দুই শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেছেন।
মন্তব্য করুন