সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে আলী নুর নামের এক কৃষকের ২ বিঘারও বেশি জমির পাকা বোরো ধান কেটে নিয়েছে প্রতিপক্ষ। এমন অভিযোগ উঠেছে অপরপক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া একই গ্রামের উম্মর আলীর ছেলে আব্দুস শহিদ ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী কৃষক আলীনুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের নালেরবন্দ গ্রামের বাসিন্দা।
রোববার (২০ এপ্রিল) রাতে উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের নালেরবন্দ গ্রাম সংলগ্ন কুফার হাওরে এমন ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছু দিন ধরে আব্দুস শহিদ ও তার লোকজনের সঙ্গে আলীনুর মিয়ার পরিবারের বিরোধ হয়ে আসছে। এ নিয়ে থানায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগও রয়েছে। এ অবস্থায় আলীনুর মিয়ার ছোট ছেলে নাজু রহমান তার বউ ইমা আক্তারকে নিয়ে সিলেট থেকে বাড়িতে বেড়াতে আসে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে আলীনুর মিয়ার ছোট ছেলে নাজু রহমানের স্ত্রী ইমা আক্তার তাদের জমি দেখতে গেলে আব্দুস শহিদ ও তার লোকজন ইমাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে।
পরে স্থানীয়রা ইমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে এবং ভর্তি করে। পরের দিন নাজু রহমান বাদী হয়ে আব্দুস শহিদ ও তার দুই ভাই শফিক মিয়া, আফিক মিয়াসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করে। এতে আব্দুস শহিদ ও তার লোকজন চটে যায়। এক পর্যায়ে রোববার রাতে তারা দলবল নিয়ে আলীনুর মিয়ার ২ বিঘারও বেশি পাকা ধান কেটে নিয়ে যায়।
আলীনুর মিয়ার ছেলে নাজু রহমান জানান, আমরা আব্দুস শহিদ ও তার লোকজনের ভয়ে বাড়িতে যাতে পারি না। তারা আমাদের পাকা ধান কেটে নিয়েছে। আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে। সে এখন হাসপাতালে আছে। আমরা থানার ওসিকে বিষয়টি জানিয়েছি।
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনার সত্যতা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন