কুমিল্লার পুলিশ লাইন্সে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৬ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে দুজন পলাতক আছেন। পরে তাদের মধ্যে চারজনকে কারাগারে নেওয়ার সময় আদালত প্রাঙ্গণে ডিম ছুড়ে মারে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মাহাবুবুর রহমান আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ছাড়াও পলাতক দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। কুমিল্লা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) কাইমুল হক রিংকু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চার আইনজীবী হলেন– কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পিপি মুস্তাফিজুর রহমান লিটন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও জাকির হোসেন। অন্যদিকে আদালতে হাজির না হওয়ায় জিয়াউল হাসান চৌধুরী সোহাগ এবং সাবেক এপিপি এ এন এম মহিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
জানা গেছে, ৩ আগস্ট পুলিশ লাইন্সে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থী ইনজামুল হক এ মামলা করেন। এতে ২৬১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে ২৬ জন আইনজীবী। এদিকে আইনজীবীদের আদালতে হাজিরা হওয়া নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। আদালত প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনীসহ পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। আদালতের রায় শেষে কারাগারে নেওয়ার সময় চার আইনজীবীকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারেন কয়েকজন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগর সদস্যসচিব রাশেদুল হাসান বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় জড়িত ছিল কুমিল্লা বারের অ্যাডভোকেট প্যানেল। সেই হামলায় তাদের নামে মামলা হয়েছে আমরা দেখতে পেয়েছি। বিভিন্নভাবে তারা জামিনে আসার জন্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোনো আসামিকে ছেড়ে দিলে আমরা ছাত্র-জনতা প্রতিহত করবে।
আদালতের পিপি কাইমুল হক রিংকু বলেন, মামলায় ছয় আইনজীবীকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাকিদের পুলিশের অভিযোগপত্র জমা না হওয়া পর্যন্ত জামিন দিয়ে তদন্ত কাজে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন