বগুড়ার শেরপুরে আসামির কাছে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করায় থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম।
অভিযোগকারী মোবারক হোসেন জানান, ২০২৪ সালের ১২ মে তার ভাগ্নে আলমগীর হোসেনের স্ত্রী আখি খাতুনের দাম্পত্য কলহের জেরে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় উভয় পরিবারের মাঝে আপোষ মীমাংসাও হয়, যেখানে থানা পুলিশের মধ্যস্থতা ছিল। সে ঘটনায় এসআই জাহাঙ্গীর আলম আপোষনামা গ্রহণ করেন। পরে সংশোধন করবেন বলে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন।
কিন্তু প্রায় ১০ মাস পর ২০২৫ সালের ১৩ এপ্রিল আকস্মিকভাবে আখির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একটি মামলা করা হয়, যেখানে মোবারকসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
মোবারকের অভিযোগ, এসআই জাহাঙ্গীর আলম টাকা দাবি করে ব্যর্থ হয়ে এ মামলায় তাদের নাম যুক্ত করেন।
মোবারক অভিযোগ করে আরও বলেন, মামলার আগেই এসআই জাহাঙ্গীর আলম ভাগ্নে আলমগীর হোসেনকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায়। শুরুতে দুই লাখ টাকা দাবি করা হলেও পরে তা এক লাখ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু ভুক্তভোগীরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু হয়। আমাদের কাছে এ ঘটনার ২৫ মিনিটের বেশি সময়ের অডিও রেকর্ডিংও রয়েছে।
এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত ১৮ এপ্রিল শেরপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, এসআই জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করায় তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। রোববার (২০ এপ্রিল) পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে এ আদেশ দেওয়া হয়। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
এ বিষয়ে বগুড়ার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) সজীব শাহরীন জানান, বিষয়টি জেনেছি, ওই এসআইকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন