বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, সংস্কার এবং দুর্নীতি ও খুন-গুমের বিচারের পর নির্বাচন চায় জামায়াত।
দেশব্যাপী চলমান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াতি পক্ষকে সামনে রেখে রোববার (২০ এপ্রিল) দিনভর সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরশহরে স্থানীয় শাখার নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন তিনি। ওই সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সাক্ষাৎকার প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের মতো দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে, ইউনূস সাহেবকে দ্রুত সরিয়ে দিতে চায় একটি আধিপত্যবাদী শক্তি। ইউনূস সাহেবকে সরিয়ে দিতে দেশীয় কয়েকটি রাজনৈতিক দলও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা যেনতেন নির্বাচন চায়।’
তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নির্বাচন দেওয়াই আপনার একমাত্র কাজ না। আপনার এক নাম্বার কাজ হলো রাষ্ট্র সংস্কার, এরপর দুর্নীতি ও খুন-গুমের বিচার করা- এগুলো করার পর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে সুষ্ঠু নির্বাচন না দিয়ে আপনি যাইতে পারবেন না। আপনাকে দেশেই থাকতে হবে।’
সেলিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যেনতেন নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে নয়, বরং রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার, স্বৈরশাসকদের বিচার প্রক্রিয়াসহ সম্পূর্ণ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে।’ সে জন্য প্রয়োজনীয় সময় বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিপ্লবোত্তর জামায়াতে ইসলামীর প্রতি মানুষের সমর্থন ও প্রত্যাশা জানতে গত ১১ এপ্রিল থেকে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী দাওয়াতি পক্ষ ও গণসংযোগ কর্মসূচি চলছে। আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে ভাড়াটে আইন দিয়ে দেশ পরিচালনায় বিগত রাষ্ট্র শাসকগোষ্ঠী ব্যর্থ হয়েছে। তাদের চেষ্টায় কমতি না থাকলেও প্রক্রিয়া কিংবা পদ্ধতি ভুল ছিল। সে কারণে আমরা আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসনের মাধ্যমে দেশকে পুনরায় গঠন করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
দলের নিবন্ধন ও প্রতীকের ফিরে পাওয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘খুব শীঘ্রই দেশবাসী সুখবর পাবেন। এজ আর্লি এজ পসিবল আমরা দলীয় নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক ফিরে পাবার সাথে সাথে আমাদের নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পাবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিয়ানীবাজার উপজেলার আমির মাওলানা ফয়জুল ইসলাম, পৌর আমির মোহাম্মদ জমির হোসাইন, উপজেলা নায়েবে আমির আবুল খয়ের প্রমুখ।
মন্তব্য করুন