জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলার সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এবারই জামায়াতে ইসলামী মুক্ত পরিবেশে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। ১৯৭১ সালের পরে গত ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের মাটিতে জামায়াতে ইসলামী তাদের আদর্শকে সমাজের প্রতি স্তরে পৌঁছে দিতে পারছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আশাশুনি জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আজিজুর রহমান বলেন, আগে কখনো সরকারি দলের সঙ্গে, কখনো বিরোধী দলের সঙ্গে জোট বেঁধে কাজ করলেও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারিনি। জামায়াতে ইসলামী বিগত বছরগুলো স্বৈরশাসকের হাতে সর্বোচ্চ নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে একটি পরিপূর্ণ সর্বজন স্বীকৃত সংস্কার কার্যক্রম শেষ করার মধ্য দিয়ে সর্বোচ্চ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সংস্কারের মধ্য দিয়ে এমন একটি নির্বাচন কাঠামো দাঁড় করাবেন যাতে করে বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনোদিন স্বৈরাচার জন্ম নিতে না পারে।
মাওলানা আজিজুর রহমান আরও বলেন, অবৈধ ও অনৈতিক কোনো কাজের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী জড়িত থাকলে গণমাধ্যম কর্মীরা তুলে ধরবেন। আমরা অবশ্যই সেই নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।
আশাশুনি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার বলেন, আমরা গণমাধ্যমের শতভাগ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আপোষহীনভাবে সত্য প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের পাশে আমাদের সংগঠন সবসময় ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। গণমাধ্যমের কর্মীরা আমাদের বিষয়ে যে কোনো ধরনের সংবাদ অকুণ্ঠ চিত্তে তুলে ধরবেন, কেননা জামায়াতে ইসলামী সব সময় জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী।
আশাশুনি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা মিডিয়া বিভাগের সভাপতি শাহ অহিদুজ্জামান শাহিন, সেক্রেটারি জাকির হোসেন।
সাংবাদিক জিএম মুজিবার রহমান, আহসান হাবীব, জিএম আল ফারুক, রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল, এসকে হাসান, সমীর কুমার রায়, আলী নেওয়াজ, সোহরাব হোসেন, আকাশ হোসেন, বিএম আলাউদ্দিন, লিংকন আসলাম, গোপাল কুমার মণ্ডল, এমএম সাহেব আলী, নুর আলম, মোস্তাফিজুর রহমান (সংগ্রাম), মাহবুবুল হাসনাইন টুটুল, আরিফুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, রেজাউল করিম ফুলবাবু ও ইয়াছিন আরাফাত।
মন্তব্য করুন