মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাই জলোৎসবের মাধ্যমে রাঙামাটিতে শেষ হয়েছে বৈসাবি উৎসব। শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে জলকেলিতে মেতে উঠে মারমা জনগোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা। পুরোনো বছরের সকল দুঃখ, কষ্ট, বেদনাকে ভুলে গিয়ে একে অন্যের প্রতি পানি ছিটিয়ে শুদ্ধ করেন মারমা তরুণ-তরুণীরা।
দুই লাইনে দাঁড়িয়ে মারমা তরুণ-তরুণীরা। সামনে পাত্রভর্তি পানি, আর সেই পানি মারমা তরুণ-তরুণীরা একে অপরের গায়ে অবিরাম বর্ষণ করছেন।
পুরোনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করতে মারমা জনগোষ্ঠী সাংগ্রাই উৎসব পালন করে আসছে। এবছরও জেলার বিভিন্ন স্থানে সাংগ্রাই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে রাঙামাটি চিং হ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে মারমা সংস্কৃতি সংস্থার উদ্যোগে দিনব্যাপী সাংগ্রাই উৎসবের মাধ্যমে শেষ হয়েছে এই বছরের বৈসাবির আনুষ্ঠানিকতা। উৎসবে যোগ দিতে পেরে উচ্ছ্বাসের কথা জানালেন মারমা তরুণ-তরুণীরা।
এছাড়াও জলোৎসবে মারমা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী গান ও নাচ পরিবেশন করা হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে আগত কয়েক হাজার মারমা নারী-পুরুষ।
মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থা (মাসস) রাঙামাটির সভাপতি মারমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাই এই বৈচিত্র্যগুলোকে ধারণ করতে এবং এগুলোকে উৎসাহিত করতে। যার মাধ্যমে নিজেরা যাতে একসাথে ভালো থাকতে পারি সেই প্রত্যাশাই আমাদের।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অনুপ কুমার চাকমা, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহসহ প্রমুখ। এতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন