চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে পালানো আসামি রফিক উল্লাহকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাইন্যাখালী ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে চমেক হাসপাতাল থেকে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় পালিয়ে যায় রফিক। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার রফিক ওই এলাকায় তার সৎ বোনের শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে ছিলেন। রফিকের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মোট ১৩টি মামলা রয়েছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোলাইমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, রফিক উল্লাহ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মফিজুর রহমান মজু বলি। গত ১৬ মার্চ কোস্টগার্ডের বিশেষ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন রফিক। ওইদিন গ্রেপ্তার হওয়ার আগে কোস্টগার্ডের সঙ্গে গোলাগুলিতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন রফিক। আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে প্রথমে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২৩ মার্চ তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালটির ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন থাকা রফিককে ১৬ এপ্রিল ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ছাড়পত্র পাওয়ার পরপরই কৌশলে দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দুই কনস্টেবল মামুন ও আব্দুল কাদিরকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এ ঘটনা জানাজানি হলে নগর পুলিশে তোলপাড় শুরু হয়। অভিযুক্ত দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, পালানোর পরদিন জলদস্যু রফিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ২২৪ ধারায় পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করা হয়। সে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন