কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হওয়া খাগড়াছড়ির দুর্গম আলুটিলা পুনর্বাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড ও খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।
এ সময় খাগড়াছড়ি সদর জোনের জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাদেমুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের জিটু-আই মেজর কাজী মোস্তফা আরেফিন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য শান্তিময় ত্রিপুরা ছাড়াও ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আলুটিলা পুনর্বাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামতের জন্য আর্থিক সহায়তাসহ ঢেউটিন ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে ঘর মেরামতের জন্য নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত আলুটিলা পুনর্বাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পরিবারগুলোর পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান বলেন, সেনাবাহিনী সব সময়ই নিরীহ মানুষের যে কোনো বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে। আপনাদের মানসিক শক্তি যোগাতে আমরা এখানে এসেছি। আমরা বিশ্বাস করি, সবার সহযোগিতায় শীঘ্রই আপনারা ঘুরে দাঁড়াবেন।
মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য শান্তিময় ত্রিপুরা বলেন, ঝড়ে আলুটিলা পুনর্বাসনপাড়া, চৌদ্দকরপাড়া ও হৃদয় মেম্বারপাড়ায় ৪৭টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিন গ্রামের অনেক মানুষ বৈসু উৎসব পালন করতে পারেননি। দুদিন ধরে অনেক পরিবার ভাত খেতে পারেনি।
আলুটিলা পুনর্বাসনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগম জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে স্কুল ভবনের অর্ধেক অংশের চাল উড়ে গেছে। বই-খাতা, ফ্যান, সোলার প্যানেল, বোর্ডসহ আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। বৈসাবীর ছুটি শেষে স্কুল খুললেও ক্লাস নেওয়ার মতো পরিবেশ নেই।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোরে মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলুটিলা পুনর্বাসনপাড়া, চৌদ্দকরপাড়া ও হৃদয় মেম্বারপাড়ায় আঘাত হানে কালবৈশাখী। ঝড়ে বাঁশ, টিন দিয়ে তৈরি নির্মিত ৪৫টি পরিবারের ঘরের চাল উড়ে যায়। এ সময় উড়ে যায় আলুটিলা পুনর্বাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের অর্ধেকেও বেশি চালা। এতে বই-খাতা, ফ্যান, সোলার প্যানেল, বোর্ডসহ আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন