কক্সবাজারগামী ট্রেন প্রবাল এক্সপ্রেসে চলন্ত অবস্থায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনে আগুন লাগার খবরে আতঙ্কিত হয়ে এক দম্পতি তাদের এক ছেলেশিশুসহ লাফ দেন। এ ঘটনায় মো. হামদান নামের ৮ মাস বয়সী ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুর মা-বাবা।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রশিদার পাড়ার পশ্চিমাংশে উক্ত ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহতরা হলেন- কক্সবাজার জেলার পিএমখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক (২৪) ও তার স্ত্রী লিজা আক্তার (১৮)। প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনে তারা কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। নিহত ৮ মাস বয়সী শিশু মো. হামদান এই দম্পতির সন্তান।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, রেললাইনের পাশে থাকা চায়ের দোকান থেকে হঠাৎ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাঁচাও বাঁচাও আওয়াজ শুনে দ্রুত আমরা এগিয়ে গিয়ে তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করি। পরে তাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের দ্রুত লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখানে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শিশুটির মা লিজা আক্তার কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে বলেন, বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলাম। ট্রেনে হঠাৎ আগুন লাগার একটি চিৎকার শুনতে পাই। এরপর কি করেছি আমার জানা নাই।
এ বিষয়ে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডা. শিমুল দত্ত জানান, সন্ধ্যায় গুরুতর আহত এক শিশুসহ তিনজনকে নিয়ে আসা হয়। তবে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহতের বাবার অবস্থা আশংকাজনক। শিশুটির মায়ের অবস্থাও ভালো নয়, তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
লোহাগাড়া রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার দিদার হোসেন, ইঞ্জিনের পিছনের বগিতে শর্টসার্কিটের কারণে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। স্টেশনে আশার পর আমি এটি দেখেছি। তবে ট্রেন কোথায় থাকাকালীন আগুনের ঘটনা ঘটেছে আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত নয়।
এ বিষয়ে লোহাগাড়া থানার এসআই জাহেদ জানান, ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন