ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পাড়াগ্রামের মো. আব্দুল হালিম মোল্যা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) জিহ্বা কেটে নেওয়ার দুদিন পর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত আব্দুল হালিম মোল্লা উপজেলার ইউসুফেরবাগ বাজারের নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি গোপালপুর ইউনিয়নের পাড়াগ্রামের মৃত আবু সাঈদ মোল্লার ছেলে।
এর আগে গত রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পাড়াগ্রামের একটি বাগান থেকে তাকে জিহ্বা কাটা ও গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ধারের টাকা আদায়ের কথা বলে শনিবার বিকেলে উপজেলার পাড়াগ্রামের মিজানুর রহমান, শান্ত, লালটু, মজিবর ও হেলেঞ্চা গ্রামের আনোয়ারের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি থেকে বের হন আব্দুল হালিম। সেদিন আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। ধারণা করা হচ্ছে, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা তার জিহ্বা কেটে মাহবুবের বাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরেরদিন সকালে একই গ্রামের মফিজউদ্দিনের ছেলে নুরু মিয়া দেখতে পেয়ে সবাইকে জানালে তাকে উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, এটি একটি নির্মম ঘটনা। বৃদ্ধের জিহ্বা কেটে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দুদিন পর তিনি মঙ্গলবার সকালের দিকে মারা যান। যতোটুকু জানতে পেরেছি, ধারের টাকা নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবিদ হাসান কালবেলাকে বলেন, হাসপাতালে আনার পর অবস্থার অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছিল।
আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ কালবেলাকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অর্থ লেনদেনের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
মন্তব্য করুন