পাবনায় আদালতের ভেতরে শুনানি চলাকালে ভিডিও ধারণ করতে বাধা দেওয়ায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ছয়জন হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের ফতে মোহাম্মদপুর নিউ কলোনি এলাকার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে আওয়াল কবির (৩৮), হাবিবুর রহমানের ছেলে সরোয়ার জাহান শিশির (৩৩), দাশুড়িয়া গ্রামের মৃত আমজাদ খানের ছেলে কালাম খান (৪০), এমএস কলোনি এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে রুবেল হোসেন (৩৩), লোকসেড গাউছিয়া মসজিদ এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে সবুজ হোসেন (৩৫) এবং ভাঁড়ইমারী বাঁশেরবাদা গ্রামের মৃত আব্দুল গাফফার সরদারের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৫)।
এদের মধ্যে আওয়াল কবির ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক, সরোয়ার জাহান শিশির পৌর ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রত্যাশী। অন্যরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর ঈশ্বরদীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সময় নাশকতার একটি মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলায় আসামিরা হাজিরা দিতে এসেছিলেন। হাজিরা চলা অবস্থায় তারা এজলাসে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে থাকেন। এ সময় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্য শাহ আলম তাদের ছবি তুলতে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে মারধর করেন। এ সময় আদালতের আইনজীবী ও উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করেন এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আদালতের শুনানি শেষে তাদের আটক করা হয়।
পাবনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আইনজীবী মাসুদ খন্দকার বলেন, আদালতের এসলাসে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়ার মতো নয়। বিএনপির কেউ যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোর্ট পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আদালতে পুলিশকে মারধরের ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন