কুষ্টিয়ায় বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে অংশ নেওয়া হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোকাররম হোসেন মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি দেখিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, সোমবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন বর্ষবরণে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। পৌরসভার বিজয় উল্লাস চত্বর থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়। সামনের সারিতে ব্যানার ধরে অবস্থান নেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সামনের সারিতে তাদেরই পাশে দাঁড়িয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন কুষ্টিয়া পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মোকাররম হোসেন মোয়াজ্জেম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয় জেলাজুড়ে। গ্রেপ্তারের দাবি ওঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তথা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের থেকে। প্রশাসনকে দায়ী করে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে বলেও জানান তারা।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মোশাররফ হোসেন কালবেলাকে বলেন, সোমবার রাতে মোকাররম হোসেন মোয়াজ্জেম নামে এক ব্যক্তিকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দ করেছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া শহরের আসিফ নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় মোকাররম হোসেন মোয়াজ্জেমকে। মামলাটি ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা হয়।
উল্লেখ্য, মোকাররম হোসেন মোয়াজ্জেম ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তামজিন হোসেন জনি নামে এক যুবককে হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত ৪২ নম্বর আসামি। মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ।
মন্তব্য করুন