বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি ও তার স্ত্রী জাহেরা চাভোশি বগুড়ার ঐতিহাসিক খেরুয়া মসজিদ পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী এই ধর্মীয় স্থাপনাটি ঘুরে দেখেন তারা।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শেরপুর উপজেলার ওই মসজিদটি পরিদর্শন করেন তারা।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রদূতের সফরকে কেন্দ্র করে এলাকায় নেওয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ মোতায়েন, চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যাপ্ত প্রস্তুতির মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন সফরটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখে।
পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী জাহেরা চাভোশি। এ সময় তাদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজাউল করিম, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব গাজি সালাউদ্দীন তানভীর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ড. আহমেদ আবদুল্লাহ, শাহবন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ইয়াসিন আলী হিমেল প্রমুখ।
এ সময় স্থানীয়দের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত দম্পতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়াও বাংলাদেশের আতিথেয়তার নিদর্শন হিসেবে তাদের শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী দই উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়, যা তারা আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করেন।
খেরুয়া মসজিদ পরিদর্শন শেষে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ড. আহমেদ আবদুল্লাহ জানান, ইরানের রাষ্ট্রদূত তিন দিনের সফরে দেশের উত্তরাঞ্চলে এসেছিলেন। খেরুয়া মসজিদ পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে তার এ সফরের সমাপ্তি হয়েছে। এই সফর বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যকার সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করবে।
উল্লেখ্য, খেরুয়া মসজিদ একটি মুঘল স্থাপত্যে অনুপ্রাণিত ঐতিহাসিক নিদর্শন, যা বাংলার মুসলিম স্থাপত্য ঐতিহ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এই স্থাপনাটি দেখতে প্রতি বছর দেশি-বিদেশি পর্যটক ও গবেষকরা ছুটে আসেন।
মন্তব্য করুন