রাজশাহী নগরীতে ছিনতাই, চাঁদাবাজসহ সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মূলহোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫। রোববার (১৩ এপ্রিল) রাতে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার বড়কুঠি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) র্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আসিফ আল-রাজেক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার হওয়ারা হলেন- নগরীর রাজপাড়া থানার তেরখাদিয়া এলাকার মৃত শফিউল ওরফে শরিফুল ইসলামের ছেলে আবির হোসেন ওরফে জয় (২৬) এবং মাজদার আলীর ছেলে ইমন শাহারিয়া (২২)।
র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী নান্টু মোল্লা (২৭), সোহাগ (২২) ও সুজন (৩০) পেশায় অটোরিকশা চালক। তারা প্রায় ৫-৬ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত আছে। তাদের গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলায়। তারা নগরীর তেরখাদিয়া নামক এলাকায় অবস্থিত গ্যারেজে আশ্রয় নিয়ে প্রায় ৫-৬ মাস কাজ করে আসছে।
এসব এলাকায় বিভিন্ন সময়ে আসামিদের একটি গ্রুপ নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছিল। ভুক্তভোগীদের বাড়ি দূরবর্তী হওয়ায় আসামিরা তাদের কাছে বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবি করে।
রোববার গ্রেপ্তাররাসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ ভুক্তভোগীকে অটোরিকশা গতিরোধ করে নগদ ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং মাসিক ১০ হাজার টাকা ও দৈনিক ১০০ টাকা হারে চাঁদা দেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি-অপারগতা জানালে তারা এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় দিতে থাকে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রাণনাশের ভয়-ভীতি দেখায়।
র্যাব আরও জানায়, পরে র্যাবের একটি আভিযানিক দল রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর বড়কুঠি ল’ কলেজের সামনে অভিযান চালায়। এতে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মূলহোতা জয় ও নগরীর তেরখাদিয়া এলাকার কথিত ‘ইমন গ্যাং’ চাঁদাবাজ দলের নেতা ইমনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার উভয়ের নামেই একাধিক মাদক, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।
তারা নগরীর স্থানীয় অপরাধ চক্রের সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত। তারা বিভিন্ন সময়ে অনেক ভুক্তভোগী মূলত রিকশা, অটোরিকশা ও ভ্যানচালকের কাছে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি ও তা আদায় করে আসছে। এ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে র্যাব-৫ এর এই আভিযানিক কার্যক্রম চলমান থাকবে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় চাঁদাবাজি আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মন্তব্য করুন