সারা দেশের মতো রংপুরের পীরগাছায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে ছাপিয়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা ছিল সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনার চত্বরে লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
লাঠি খেলায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ৭-৮ জনের একটি দল অংশগ্রহণ করে। এ সময় বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে লাঠিয়ালরা লাঠি দিয়ে বিভিন্ন কসরতের মাধ্যমে তাদের নৈপুণ্য উপস্থাপন করে, যা উপস্থিত দর্শকদের বেশ আনন্দের খোরাকে পরিণত হয়।
খেলা শেষে কালবেলার প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় লাঠিয়ালদের। তারা জানান, তারা অনেক ছোট বেলায় ওস্তাদের নিকট থেকে এই খেলা শিখেছেন। তারা এই খেলা দেখিয়ে মানুষকে আনন্দ দিতে ভালোবাসেন। এখন আর এসব খেলার আয়োজন করা হয় না। তাই তাদেরও কেউ ডাকে না। তাই এই খেলা এখন বিলুপ্তির পথে।
তাদের দাবি, গ্রামীণ এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটিকে টিকে রাখতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। তা না হলে বর্তমান প্রজন্ম বা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম লাঠি খেলা বলে যে একটা খেলা আছে তা একদিন ভুলে যাবে।
লাঠি খেলা শেষে উপজেলা পরিষদ হলরুমে মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি, পীরগাছা মহিলা কলেজ ও পীরগাছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কলা-কুশলীরা অংশগ্রহণ করেন। সব অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক সুমন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা, সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম ডালেস, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, সমাজসেবা কর্মকর্তা এনামুল হক, উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমিসহ উপজেলার সব কর্মকর্তা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন