সাতক্ষীরার আশাশুনির আনুলিয়া ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ ভাঙনকবলিত এলাকার সহস্রাধিক বানভাসি অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে সেনাবাহিনী। এ সময় তাদের মাঝে ফ্রিতে ওষুধ বিতরণ করা হয়।
রোববার (১৩ এপ্রিল) আশাশুনির উপজেলার আনুলিয়া প্রাইমারি স্কুলে দিনব্যাপী এ মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করে যশোর সেনানিবাসের ৫৫ পদাতিক ডিভিশন।
মেডিকেল ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও যশোর এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল জেএম ইমদাদুল ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন, দুর্যোগকবলিত মানুষের পাশে থেকে সেনাবাহিনী সবসময় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাঁধ নির্মাণসহ ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সার্বিক সহায়তায় আমরা সদা প্রস্তুত। এর আগে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্তরা আমার কাছে চিকিৎসাসেবা প্রদানের দাবি জানিয়েছিলেন। পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এখানে চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ প্রায় এক হাজার রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রয়েছে। শুধু এখানেই নয়, দেশের যে কোনো প্রান্তে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। তারা আমাদেরই ভাই-বোন। তাদের পাশে থাকতে পারা আমাদের জন্য গর্বের।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সাতক্ষীরা ও আশাশুনি সেনা ক্যাম্পের সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা। চিকিৎসা ক্যাম্পে প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণ করেছেন সহস্রাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু।
চিকিৎসা ক্যাম্পে নারী, পুরুষ ও শিশুরা প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণ করেন। ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর চিকিৎসা দল ছাড়াও ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, সাতক্ষীরা ও আশাশুনি সেনা ক্যাম্পের সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ ঈদের দিন সকালে আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের তীব্র স্রোতের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে আনুলিয়া, বিছট, নয়াখালি, চেচুয়া, কাকবাসিয়াসহ ১১টি গ্রাম প্লাবিত হয়। প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। টানা ৫ দিনের প্রচেষ্টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড রিং বাঁধ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করতে সক্ষম হয়। বাঁধটি মেরামতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও সহায়তা করে।
মন্তব্য করুন