ধানক্ষেত থেকে ডানায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা সেই ঈগল পাখিটি মারা গেছে। চিকিৎসার পর জিম্মায় নেওয়া মোশারফ হোসেনের বাড়িতে শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে ঈগল পাখিটি মারা যায়। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের যোগাযোগ করে মৃত ঈগলটিকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় জয়পুরহাটের বদলগাছী উপজেলার কেশাইল সালুককুড়ি গ্রামের ধানক্ষেত থেকে ঈগল পাখিটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে নিজ জমির ধানক্ষেত পরিচর্যা করতে যায় ওই গ্রামের মো. সাব্বির হোসেন ও গোলাম রব্বানী। এ সময় তারা ধানক্ষেতের পাশে ঈগল পাখিটিকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পাখিটির কাছে গিয়ে দেখতে পান দুই ডানায় গুলির ক্ষত। এ সময় তাৎক্ষণিকভাবে তারা পাখিটিকে উদ্ধার করে আক্কেলপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের গেটে নিয়ে যান। তবে শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় হাসপাতাল বন্ধ ছিল।
পরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ অফিসার মো. মনজুরুল হাসান সুমন ঈগলটিকে চিকিৎসা দেন। চিকিৎসা শেষে দেখভাল করার জন্য ইগলটি আক্কেলপুর পৌরশহরের নিচা বাজার এলাকার মোশারফ হোসেনের জিম্মায় দেওয়া হয়। মোশারফ হোসেন তার বাসায় ঈগল পাখিটি নিয়ে যান। পরে শনিবার দুপুরে গুলিবিদ্ধ আহত ঈগল পাখিটি মারা যায়।
আক্কেলপুর উপজেলা উপসহকারী প্রাণিসম্পদ অফিসার মো. মনজুরুল হাসান সুমন বলেন, একটি ঈগল পাখি তারা আহত অবস্থায় নিয়ে আসেন। দুই ডানাতে দেখি ক্ষতের চিহ্ন। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সবাইকে অনুরোধ করব যাতে পাখি শিকার বা মারা থেকে বিরত থাকে।
ঈগল পাখি জিম্মায় নেওয়া মোশারফ হোসেন বলেন, আমি রাতে কয়েক বার ঘুম থেকে উঠে ঈগলটিকে জীবিত দেখেছি। কিন্তু ঈগলটি দুপুরে মারা যায়। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে মৃত ঈগলটিকে মাটি চাপা দিয়েছি।
অসুস্থ ইগলকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করতে নিয়ে আসা দুই কিশোর মো. সাব্বির হোসেন ও গোলাম রব্বানীর বাড়ি বদলগাছী উপজেলার খাদাইল ব্রাহ্মণপুকুর গ্রামে। তারা বলেন, ঈগলটি মারা যাওয়ায় আমরা খুব কষ্ট পেয়েছি। ঈগলটিকে বাঁচবে বলে আশা করেছিলাম।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে কালবেলা অনলাইনে ‘ধানক্ষেতে পড়েছিল ঈগল পাখি, ডানায় গুলির ক্ষত’ শিরোনামে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
মন্তব্য করুন