নাটোরের লালপুরে ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে পৃথকস্থানে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ও রাজশাহী এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়েছে। লাইনচ্যুতের ২ ঘণ্টা পর পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ও ১৬ ঘণ্টা পর রাজশাহী এক্সপ্রেস ট্রেনটির ইঞ্জিন উদ্ধার করা হয়েছে। এতে দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টার মধ্যেই ট্রেনটির ইঞ্জিন উদ্ধার করা হলে গন্তব্যের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
এর আগে, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী রাজশাহী এক্সপ্রেস ট্রেনটি আব্দুলপুর রেলওয়ে জাংশন থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে উপজেলার বাওড়া রেল ব্রিজ এলাকায় চাকা ভেঙে ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। পরে রিলিফ ট্রেন এসে ১৬ ঘণ্টা পর ওই ট্রেনের ইঞ্জিন উদ্ধার করেছে।
আব্দুলপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার জিয়া উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, লাইনচ্যুত ট্রেনের যাত্রীদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতেই লাইনচ্যুত ট্রেনের ইঞ্জিন রেখে বগিগুলো উদ্ধার করলে অন্য একটি ইঞ্জিন দিয়ে বিকল্প লাইন থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
তিনি আরও জানান, ডাবল লাইন হওয়ায় বিকল্প লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে এবং দুপুর আড়াইটার সময় লাইনচ্যুত ট্রেনের ইঞ্জিন উদ্ধারের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বর্তমানে উভয় লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
মন্তব্য করুন