কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৪ পিএম
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

১৫ বছরে পাচার ৫ লাখ কোটি টাকা : গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। পুরোনো ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। পুরোনো ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, গত ১৫ বছরে দেশ থেকে প্রায় পাঁচ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের বড় শিল্প গ্রুপ আছে।

তিনি বলেন, আমরা পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর, রোগের উৎপত্তি রোধ করা প্রধান দায়িত্ব। রোগ সারানো হচ্ছে পরে। চুরি হওয়ার পরে বুদ্ধি বাড়িয়ে লাভ নেই। চুরি হওয়ার আগেই ঠেকানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন আর কোনোভাবে না হয়।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ কার্যক্রম এবং সমসাময়িক ব্যাংকিং বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন গভর্নর।

তিনি বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতে কয়েকটি পরিবার বা গোষ্ঠী মানিলন্ডারিং করে সম্পদ চুরি করে দেশের বাইরে নিয়ে গেছে। আমরা সেই সম্পদ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই আউট অব কোর্ট স্যাটেলমেন্ট বলে একটা কথা আছে। সব জিনিসে সবসময় মামলায় দীর্ঘসূত্রতায় যাওয়ার মানে হয় না। কারণ, ভালোভাবে ধরতে পারলে আপসটাও ঠিকঠাক হয়। আর সম্পদ শনাক্ত না করতে পারলে আমরা ঠকে যাব। আপসে যেতে হলে সঠিক তথ্য বের করতে হবে। তথ্যের মধ্যে গরমিল হওয়া যাবে না। যত ভালো তথ্য পাব তত ভালো করতে পারব- আপস করতে বা আদালতে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এইচ মনসুর বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার যে উদ্যোগ তা বাংলাদেশের জন্য একেবারেই নতুন। সিস্টেমেটিকেলি এ ধরনের প্রবলেম আগে ফেস করিনি, করে থাকলেও এমন প্রচেষ্টা নেওয়া হয়নি। প্রথমবার আমরা এটা করছি। সেজন্য আমাদের অনেক কিছু শিখতে হচ্ছে। এটা তো দেশের আইনে হবে না। বিদেশিদের সঙ্গে আমাকে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। তাদের আইনের সঙ্গে সংগতি রেখে কাজ করতে হবে। প্রথম ধাপে চেষ্টা করতে হবে সম্পদগুলো চিহ্নিত করা। সেই ব্যাপারে আমরা বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ করছি। আইনি সহায়তার জন্য আমরা চিঠি পাঠাচ্ছি। বিভিন্ন ল’ ফার্মের সঙ্গে কথা বলছি, তাদের হয়তো খুব শিগগিরই হায়ার করব।

গভর্নর জানান, চট্টগ্রামের কয়েকটি বড় গ্রুপ ব্যাংকিং খাত থেকে অন্তত সোয়া লাখ কোটি থেকে দেড় লাখ কোটি টাকা নিয়েছে। আরও কিছু গ্রুপ আছে যারা ২০, ৪০, ৫০ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। আমার ধারণা ছোটগুলো বাদেই বড় গ্রুপগুলোর আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা হতে পারে। সেগুলোও আদায় করতে হবে অর্থঋণ আদালতসহ অন্য আইনি প্রক্রিয়ায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা

পহেলা বৈশাখে আনন্দ শোভাযাত্রা উপলক্ষে ডিএমপির নির্দেশনা

আবারও বেড়েছে সোনার দাম

আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু

‘জি এম কাদের অচিরেই তার কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্ত করবেন’

ভুল ইনজেকশনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে বিক্ষোভ

কাফনের কাপড় পরে হলেও মেলা করব : গয়েশ্বর

বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে স্লোভাকিয়ার প্রতি আহ্বান

ট্রাম্পের নতুন নীতিমালা, মৃতদের তালিকায় হাজারো অভিবাসী

দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও প্রমোশন ও ইনক্রিমেন্ট কেন আটকে যায়

১০

ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে গণমিছিল করবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

১১

চার দিন ধরে নিখোঁজ গৃহবধূ, কান্না থামছে না দুই সন্তানের

১২

গাজীপুরে মিছিল থেকে কারখানায় হামলা

১৩

সৌদি রাষ্ট্রদূতকে ‘হানিট্র্যাপে’ ফেলার অভিযোগ মডেল মেঘনার বিরুদ্ধে

১৪

ঠাকুরগাঁওয়ে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে ফারুক হাসানের বার্তা

১৫

স্ত্রীর তথ্যেই ধরা মাদক ব্যবসায়ী স্বামী

১৬

ডিসেম্বরে নির্বাচন নিয়ে যা বললেন বিএনপি নেতা পারভেজ মল্লিক

১৭

ঘুরতে নিয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ধর্ষক

১৮

বাংলাদেশের বড় কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম

১৯

কোনো মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়নি : অধ্যাপক ডা. নাজমুল

২০
X