ভোলায় চিকিৎসকের অবহেলায় মাকসুদুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনসহ বিক্ষুব্ধরা জরুরি বিভাগে থাকা মেডিকেল অফিসারের উপর হামলা করে। পরে ওই চিকিৎসককে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয় পুলিশ।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঘটনাটি ঘটে।
নিহতের স্বজনরা জানান, আমরা যখন রোগীকে নিয়ে আসি তখন চিকিৎসক রোগীকে না দেখেই নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষ হওয়ার অনেক সময় অতিবাহিত হলেও ডাক্তার তখনো অনুপস্থিত। পরে রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে জরুরি বিভাগে (ইমারজেন্সি) থাকা রাকিব নামে এক ব্রাদার রোগীকে অক্সিজেন মাস্ক পরান ও রোগীর প্রেসার মাপেন। রোগীর অবস্থার আরও অবনতি হলে এক পর্যায়ে ডিউটিরত ব্রাদার কর্তব্যরত চিকিৎসককে হাসপাতালের বাহিরে থেকে ডেকে নিয়ে আসেন। ডাক্তার এসে প্রাথমিক অবস্থায় ইনজেকশন দিয়ে পরে পালস চেক করে কিছু না বলে চলে যান।
তারা আরও জানান, আমরা রোগীকে জীবিত অবস্থায় নিয়ে এসেছি। কিন্তু এখানকার ডাক্তার কাগজে লিখেছে রোগী হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন। তবে তারা চিকিৎসকের দেরিতে আসা ও অবহেলার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। পাশাপাশি তারা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে ভোলা থানার ওসি আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, দুপুরে একজন রোগী জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এলে কর্মরত ডাক্তার নাইমুল হাসান রোগী দেখতে বিলম্ব করায় রোগীর মৃত্যু ঘটে। খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থলে এলে পরিবেশ উত্তেজিত হয়ে উঠে, এক পর্যায়ে ডাক্তারকে মারধরের চেষ্টা করলে খবর পেয়ে ভোলা থানা থেকে একটি মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে আমি নিজে আরও পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাক্তারকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসি।
ভোলা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. শেখ সুফিয়ান রুস্তম জানান, ঘটনার পরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন