পটুয়াখালীর বাউফলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের একপর্যায়ে জহির উদ্দিন নামে বিএনপির এক নেতাসহ দুজনকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার মৈশাদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মৈশাদি এলাকায় মফিজ হাওলাদার নামে বিএনপির এক কর্মীর সঙ্গে শ্রমিক দলের ওয়ার্ড সভাপতি হান্নান হাওলাদারের বিরোধ চলছিল। বুধবার (৯ এপ্রিল) এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে হান্নান হাওলাদারের লোকজন মারধর করে মফিজকে। এরই জেরে আজ বিকেলের দিকে মফিজের আত্মীয় উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন মিলে হান্নান হাওলাদারের বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় বাধা দেয় হান্নানের বাড়ির লোকজন। ছুটে আসেন স্থানীয়রাও। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গ্রুপ। আহত হন উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন। একপর্যায়ে বিএনপি নেতা জহির উদ্দিনসহ দুজনকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে বাউফল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জহির উদ্দিনসহ আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
বিএনপি নেতা জহিরের আত্মীয় পরিচয় দেওয়া মফিজ হাওলাদার নামে একজন বলেন, হান্নান লোকজন নিয়ে মফিজকে মারধর করেছে। আর তার স্বজনরা জিজ্ঞাসা করতে তার বাড়িতে গেলে ওই বাড়ির লোকজন অতর্কিত হামলা করে বসে।
কবির হোসেন নামে এক বলেন, মফিজ ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর ও মারধর করেছে। স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে ছুটে এসে তাদের মারধর করে বেঁধে রাখে ও পুলিশে খবর দেয়।
বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন