বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে পাঁচটি ট্রলারে ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অর্ধশত জেলে আহত ও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ডাকাত দল মাছ ও রসদসহ ২ কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে ৬৮ জেলেকে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাত ৮টায় ২৫ ঘণ্টা পর জেলেরা তীরে ফিরে এসেছে। এর আগে বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের বড় বাইজদা এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডাকাতি হওয়া ট্রলারগুলো হলো এফবি তারেক-২, এফবি তুফান-২, এফবি মা, এফবি আব্দুল্লাহ, এফবি জুনায়েদ। ট্রলারগুলো পাথরঘাটার মালিকানাধীন। ডাকাতির কবলে পড়া জেলেরা পাথরঘাটার বাসিন্দা।
এফবি আব্দুল্লাহ ট্রলারের মাঝি রফিক গাজী বলেন, বুধবার বিকেলে বঙ্গোপসাগরে জাল পেতে মাছ ধরার জন্য অপেক্ষা করি। এর কিছুক্ষণ পর হঠাৎ সশস্ত্র হামলা চালায় জলদস্যু বাহিনী। এ সময় আমরা বাধা দিলে ট্রলারে উঠে বেদম মারধর করে মাছসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ইঞ্জিন বিকল করে দেয়। তারা ডাকাতি করে চলে যাওয়ার সময় আমাদের জেলেরা ডাকাত ডাকাত বলে ডাক চিৎকার করলে দূর থেকে গুলি ছোড়ে। এতে ট্রলারের অন্তত পাঁচজন জেলে গুলিবিদ্ধ হন।
এফবি জুনায়েদ ট্রলারে বাবুর্চি মিলন বয়াতি বলেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের ট্রলারে উঠে আমাকে মারধর করে। এ সময় মাঝিকে দেখিয়ে দিতে বলে। আমাদের জেলেরা মাঝিকে দেখিয়ে না দেওয়ায় বেদম মারধর করে সব মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় ডাকাতদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন দেশী অস্ত্র দেখা গেছে। তারা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন ছিল।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সশস্ত্র ডাকাতেরা মালামাল লুট করে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে দিয়েছে। এ ছাড়া ওয়্যারলেস নিয়ে গেছে। ডাকাতির শিকার জেলেরা ভ্যাসেল জাহাজের মাধ্যমে উপকূলে সংবাদ পাঠিয়েছে। ঘটনা শোনার পর তাৎক্ষণিক আমরা পুলিশ সুপার এবং কোস্ট গার্ডকে জানিয়েছি। এ ছাড়া মালিক সমিতির দুটি ট্রলার পাঠিয়ে জেলেদের উদ্ধার করি।
মন্তব্য করুন