ঢাকার অদূরে সাভারের কাতলাপুর এলাকা থেকে গুলি ছুড়ে ছিনিয়ে নেওয়া ট্রলার দুটি উদ্ধার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর ভাটিরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ট্রলার দুটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গতকাল বুধবার সাভারে চাঁদা না পেয়ে দুষ্কৃতকারীরা গুলি ছুড়ে দুটি ট্রলার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাভারের কাতলাপুর এলাকার কর্ণপাড়া মিলনঘাটটি দীর্ঘদিন ধরে সাভার পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম পরিচালনা করে আসছন। সম্প্রতি মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার ফুডনগর মোল্লাপাড়ার অন্তর খান (২৬), মোর্শেদ খান (২৫), মোশাররফ খান (২৮), হৃদয় (২৫), রনি খানসহ (৪২) অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন ঘাট পরিচালনায় বাঁধা দিয়ে কামরুলের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
বুধবার বিকেলে পুনরায় আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিলনঘাটে গিয়ে দুষ্কৃতিকারীরা চাঁদা দাবি করলে কামরুল চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা কামরুলকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে অন্তর খান পিস্তল সদৃশ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়েন এবং দুটি ট্রলার ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান।
কামরুল ইসলামের ছেলে হেদায়েত উল্লাহ বলেন, বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে হঠাৎ করে নৌকায় করে অস্ত্রসহ তারা খেয়া ঘাটে আসে। অন্তর ৩ রাউন্ড গুলি করে। আমাকেসহ কয়েকজনকে মারধর করে দুইটা ইঞ্জিন চালিত নৌকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।
সাভার পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুবকর সরকার কালবেলাকে বলেন, মিলন ঘাটটি এখনো কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। ইজারা দেওয়ার কার্যক্রম এখনো চলছে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল মিঞা কালবেলা বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, মামলা নিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে, তবে গুলি করার শব্দ কেউ শুনেছে এমন সাক্ষ্য প্রমাণ এখনো পাইনি। ট্রলার দুটি উদ্ধার করা হয়েছে, তবে এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন